মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্থান পায়নি চুকনগরের শোকগাথা
প্রকাশিত : ১২:৩২, ২০ মে ২০২২ | আপডেট: ১২:৩৩, ২০ মে ২০২২
চুকনগর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ
৫১ বছর পরেও স্বাধীনতার দলিলে আসেনি চুকনগর গণহত্যার শোকগাথা। আজকের এই দিনের ঘটনাটি পৃথিবীর ইতিহাসে একদিনে করা সবচেয়ে বড় গণহত্যা। বেঁচে যাওয়া অনেকে বলেছেন, সেদিন ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে পাকিস্তানিরা।
খুলনা-যশোর-সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী ভদ্রানদীর কোলঘেঁষে ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর। ভৌগোলিক কারণে এদিক থেকে সহজে ভারতে পাড়ি দেয়া যেত। তাই একাত্তরে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নদীপথে বটিয়াঘাটা, দাকোপ, বাগেরহাট, পিরোজপুর, মংলা, মোড়েলগঞ্জ এলাকার মানুষ একত্রিত হন পাতাখোলা বিলসহ গোটা চুকনগরে।
১৯ মে চুকনগরে রাত্রিবাস করেন সবাই। ২০ মে সকালে সাতক্ষীরার অস্থায়ী সেনাক্যাম্প থেকে দুটি ট্রাক এবং একটি খোলা জিপে এসে হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি সেনারা।
চুকনগর বাজারে প্রথম শহীদ হন মালতিয়া গ্রামের ৬৯ বছর বয়সী চিকন মোড়ল। মন্দিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের টেনে-হিঁচড়ে বেয়নেটে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্থান পায়নি এই গণহত্যা। প্রজন্মকে জানাতে পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরার দাবি স্থানীয়দের। আর মানব ইতিহাসের বীভৎসতম জেনোসাইডটি ইতিহাসে ঠাঁই পাক এমন প্রত্যাশা স্বজনহারাদেরও।
এএইচ/
আরও পড়ুন