সুনাগঞ্জে বন্যার অবনতি, সিলেটে এখনো ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
প্রকাশিত : ০৯:১৬, ২২ মে ২০২২
সিলেট অঞ্চলে চারটি নদীর পানি সাতটি পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷ সুরমা-কুশিয়ারা ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আশার কথা হলো, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে ধীরগতিতে৷ তবে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায় পরিস্থিতি অবনতির দিকে৷
জকিগঞ্জে অমলসীদ, বিয়ানীবাজারে শেওলা এবং ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দী লাখো মানুষ। ঘরে পানি থাকায় জ্বলছে না চুলা। আছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। ঘরবাড়ি ফেলে অনেকে ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, দিরাই ও শাল্লার বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট ভেঙ্গে দুর্ভোগ বেড়েছে। জেলা সদরের সাথে বিচ্ছিন্ন ৫ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ।
ধীরগতিতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে সিলেটে। তবে এখনো নগরীর ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট চলছে। নগরীর ১৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে বিতরণ করা হচ্ছে রান্না করা খাবার।
উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে গাইবান্ধায় তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার ১৬৩টি চরাঞ্চলের অন্তত ২ হাজার বিঘা জমির বোরো ধান, চিনা, কাউন, পেঁয়াজসহ সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে, সিরাজগঞ্জেও বাড়ছে যমুনার পানি। নদীর পশ্চিমপাড় এনায়েতপুরের জালালপুরে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। কয়েকদিনে বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। ভাঙন আতঙ্কে ক্ষতিগ্রস্তরা সরিয়ে নিচ্ছেন শেষ সম্বল।
এদিকে হঠাৎ বন্যায় এসব অঞ্চলের বোরো ধান, আউশের বীজতলার পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষেতও পানিতে ডুবে গেছে৷ পানির নীচে চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ বাদাম ক্ষেত৷
শুধু সিলেটেই অন্তত দেড় হাজার হেক্টর জমির ধান কাটতে পারেননি কৃষকরা৷ এই ধান কাটতে না পারলে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এসবি/
আরও পড়ুন