ভাইরাসে মরে যাচ্ছে সাদা সোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৪৪, ২৪ মে ২০২২
প্রচণ্ড তাপদাহের সঙ্গে ভাইরাসে মরে যাচ্ছে সাদা সোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ি। ভরা মৌসুমে এমন বিপর্যয়ে মারাত্মক লোকসানের মুখে বাগেরহাটের চিংড়িচাষিরা।
দেশের সবচেয়ে বেশি চিংড়ি উৎপাদিত হয় বাগেরহাটে, যার ৯০ শতাংশই রপ্তানি হয় বিদেশে। অধিকাংশ ঘেরে মড়ক লাগায় বিপর্যস্ত করোনা সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টারত চিংড়িচাষিরা।
রামপাল ও মোংলার ছয়টি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি চিংড়ি মারা গেছে।
চিংড়িচাষিরা জানান, “গত পাঁচ-ছয় দিনে ভাইরাসের কারণে আমরা একদম শেষ। মাছ যখনই ধরা হবে তখনই ভাইরাসটা লাগে। মাছের পরিবর্তে শুধু খোসা পাওয়া যাচ্ছে।”
জেলা মৎস্য বিভাগ বলছে, ৬৬ হাজার ৭শ’ ১৩ হেক্টর জমিতে ৭৮ হাজার ৬শ’ ৮৫টি বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘেরে চাষি রয়েছেন প্রায় ৭৩ হাজার। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা ও হঠাৎ বৃষ্টিসহ ভাইরাসের পাশাপাশি বেশিরভাগ ঘেরে পানি স্বল্পতার কারণেও মড়ক লেগেছে।
রামপাল মৎস্য সম্প্রসারণ প্রতিনিধি শেখ ইকবাল হোসেন বলেন, “ভাইরাসমুক্ত পোনাগুলো যদি সব কোম্পানি সরবরাহ করত তাহলে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যেত।”
মারা যাওয়া চিংড়ির নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, “নমুনা সংগ্রহ করে মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রে প্রেরণ করেছি। রিপোর্ট পেলেই প্রকৃত কারণ বলতে পারব।”
চিংড়ি শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
বাশঁতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, “এলাকার ৯০ শতাংশ এই চিংড়ি চাষের উপর নির্ভরশীল। তাদের আয়ের একমাত্র উৎস হচ্ছে এই চিংড়ি ঘের।”
আর প্রণোদনাসহ ভাইরাস দমনে কার্যকর প্রক্রিয়া চান চাষিরা।
এএইচ
আরও পড়ুন