খাল বন্ধ করে পুকুর খনন, ৪শ’ বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি
প্রকাশিত : ১৫:৩৫, ২৫ মে ২০২২
নাটোরের সিংড়ায় পানাগাড়ি বিলের ক্যানেল বন্ধ করে পুকুর খনন করায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ওই বিলের প্রায় ৪শ’ বিঘা জমিতে ফসল আবাদ করতে পারছেন না কৃষকরা।
দুই ফসলি এই জমিগুলো অনাবাদি হয়ে পড়ার আশংকা করছেন এলাকার কৃষকরা।
বুধবার (২৫ মে) সরেজমিনে সিংড়া উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত মহেশচন্দ্রপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানাগাড়ি বিলের মাঝে পৈতৃক সম্পত্তিতে দু’বছর আগে পুকুর খনন করেন আব্দুস সোবাহান। একইভাবে তার নিকটাত্মীয় সাহাদতও এবার নতুন করে পুকুর খনন করা শুরু করেছেন।
এতে করে ওই পানাগাড়ি খালের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি বের হতে পারছেনা। এতে ওই বিলের প্রায় ৪ ‘ বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, ওইসব জমিতে বোরো ধান কর্তনের পর রোপা আমনের আবাদ করে থাকেন তারা। কিন্ত পুকুর খনন করায় পানি নিষ্কাশনের ক্যানেল বন্ধ হয়ে ওই জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। ফলে রোপা আমন আবাদ করতে পারেনি। এতে বিলের প্রায় ৪শ’ বিঘা জমি অনাবাদি হওয়ার আশংকা করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
কৃষক শাজাহান বলেন, পানাগারি বিলে তার ৮ বিঘা জমি রয়েছে। জমিতে দুটি করে ফসল আবাদ করেন। কিন্তু বিলের মধ্যে পুকুর খনন করায় গত দুই মৌসুম বোরা আবাদ করতে পারলেও রোপা আমন চাষ করতে পারেননি তিনি।
১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ওয়াদুদ মণ্ডল বলেন, বিলের মধ্যে পুকুর করার কারণে বিলের প্রায় ৪শ’ বিঘা জমি অনাবাদি হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জমিতে আবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। পুকুর মালিকদের বলেও কাজ হচ্ছেনা। বিষয়টি ইউএনওকে জানান হয়েছে।
পুকুর মালিক আব্দুস সোবাহান ও সাহাদত হোসেন বলেন, তারা পৈতৃক জমিতে পুকুর খনন করেছেন। কোন ক্যানেল বন্ধ করে পুকুর কাটেননি। পানি যাওয়ার মত জায়গা রেখে পুকুর কেটেছেন বলে দাবি করেন তারা। তবে যেসব মাটি ঢলে পড়েছে সেগুলো উঠিয়ে দেওয়া ও পানি নিস্কাশনের জন্য কিছু জায়গা ছেড়ে দিবেন।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কৃষকদের মাধ্যমে অভিযোগ পাওয়ার পর ইতিমধ্যে পুকুর খনন কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এএইচ
আরও পড়ুন