মির্জাগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১, আটক ৭
প্রকাশিত : ২১:৫৬, ২৬ মে ২০২২
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. নুরুল ইসলাম (১৭) নামে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত নুরুল ইসলাম দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামের আমজেদ হাওলাদারের ছেলে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মহিলাসহ আরো ৭জন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে।
আহতরা হলেন, মো. নুর ইসলাম (১৭), মো. আমজেদ হাওলাদার (৫০), সুলতান (৪০), ফুরুতি (৪০), শারমিন (২৮), আলেয়া ( ৫৫), ইউসুফ হাওলাদার (২০) ও চামেলী বেগম (৩০)।
আহতদের মির্জাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. নুর ইসলামকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বোন তানিয়া বেগম বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বুধবার রাতেই থানা পুলিশের তৎপরতায় প্রধান আসামীসহ ৭জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার মির্জাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামের আমজেদ হাওলাদারের (পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া) জমিতে একই বংশের প্রতিপক্ষ ওয়াজেদ হাওলাদার (ওয়ারিশ সূত্রে দাবিদার) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দলবলসহ জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমজেদ হাওলাদার তার স্ত্রী, পুত্র বাড়ির লোকজন নিয়ে দখলদারদের বাধা দিলে ওয়াজেদ হাওলাদারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠি শোঠা দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় আমজেদ হাওলাদার, তার ছেলে নুর ইসলাম, স্ত্রী ফুরুতি বেগমসহ ৮জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে নুর ইসলামকে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অন্যদের মির্জাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় নিহতের বোন মোসা. তানয়িা বেগম বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ঘটনার দিন রাতে মামলার প্রধান আসামীসহ ৭জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. জসিম (২৫), মো. হাসান (২৮), মো. হাবিবুর রহমান (৩০), মো. মিজানুর রহমান (৩২), আব্দুল মালেক প্যাদা (৫০), বিলকিছ বেগম (৫৫), মো. কহিনুর বেগম (৪৫)। এদেরকে বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ঘটনা জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থল হতে ভুক্তভোগী আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এদের মধ্যে নুর ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে বরিশাল পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বোনের দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামীসহ ৭জনকে ওই রাতেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এসি
আরও পড়ুন