সরকারি রাস্তার ইট বিক্রির অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে
প্রকাশিত : ০৯:১২, ২৯ মে ২০২২ | আপডেট: ০৯:১৪, ২৯ মে ২০২২
মোংলায় একটি সরকারি রাস্তার ইট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের (মেম্বর) বিরুদ্ধে।
উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্তর চাঁদপাই এলাকার ওয়াজেদ আলীর বাড়ি থেকে দীন মোহাম্মদ আলীর বাড়ি পর্যন্ত ৫০০ ফুট ইট সলিংয়ের রাস্তা থেকে ১৫০০ ইট বিক্রির অভিযোগ ওঠে।
এলজিএসপির আওতায় (বাংলাদেশ লোকাল গভর্নেন্স সাপোর্ট প্রজেক্ট) হওয়া ওই রাস্তাটি নতুন করে সংস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু সে রাস্তা করতে গিয়ে পুরোনো ইট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খবর ছড়ায় সেই ইট এলাকার মেম্বর শফিকুল পার্শ্ববর্তী মোঃ হাসমতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
পরে শনিবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ৮টায় সেই ইট হাসমতের বাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় বেশ হাস্যরস্য ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, নতুন মেম্বর হয়েই কেবল রাস্তার ইট খেয়ে ফেললেন। এমন জনপ্রতিনিধি জনগণের কি কল্যাণে আসবে, এমন প্রশ্ন রাখেন তারা।
এলজিএসপির সাধারণ সম্পাদক চাঁদপাই ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ মতিয়ার রহমান মোড়ল বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় উত্তর চাঁদপাই এলাকায় তিনটি ইট সলিংয়ের রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে ওয়াজেদ আলীর বাড়ি থেকে দীন মোহাম্মদ আলীর বাড়ি পর্যন্ত ৫০০ ফুট ইট সলিংয়ের রাস্তা থেকে ১৫০০ ইট স্থানীয় মেম্বর শফিকুল বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে।
ওই রাস্তার দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংরক্ষিত নারী সদস্য রাবেয়া বেগম বলেন, চলমান তিনটি রাস্তা নির্মাণের মোট ২৫০০ ইট খোয়া যায়। পরে এলাকাবাসীর খবরে শনিবার রাতে রাস্তার পাশের হাসমতের বাড়ির পুকুর থেকে থেকে ১৫০০ ইট উদ্ধার করা হয়। ইটগুলো মেম্বর শফিকুল বিক্রি করেছেন বলে জানান হাসমত।
এ ব্যাপারে ফোনে চাঁদপাই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) মোঃ শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, আমি এলাকায় ছিলাম না, তাই এ সম্পর্কে কিছুই জানিনা। এই বলেই ফোন কেটে দেন তিনি। তাকে আবার ফোন করা হলে তিনি আর সাড়া দেননি।
চাঁদপাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা তরিকুল ইসলাম বলেন, “ইট কোনদিন হেঁটে হেঁটে পুকুরে যায়নি, অবশ্যই চুরি হয়েছে। জনগণের জন্য রাস্তা করে দিচ্ছি তাও যদি চুরি হয় তা দুঃখজনক। এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক ন্যায়সঙ্গত বিচার হওয়া উচিত।”
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, “বিষয়টি সর্ম্পকে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি করে এ ঘটনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এএইচ
আরও পড়ুন