বাবার পরিচয় শনাক্তের অপেক্ষায় শিশু মারিয়া
প্রকাশিত : ১২:৩২, ৬ জুন ২০২২ | আপডেট: ১২:৩৩, ৬ জুন ২০২২
সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৪৯ প্রাণ ঝরে গেছে। এখনো অনেকে রয়েছে নিখোঁজ। তাদেরই মধ্যে একজন মো. রুবেল (২৬)।
তবে সে জীবিত না মৃত বলা যাচ্ছে না। আর সেই পিতার খোঁজে হাসপাতালে ডিএনএ নমুনা দিতে মায়ের কোলে অপেক্ষায় শিশু মারিয়া।
রুবেলের স্ত্রী মুন্নি আকতার সোমবার (৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডিএনএ নমুনা দিতে আসেন। এ সময় তার কোলে ছিল তিন বছরের সন্তান মারিয়া আকতার।
এ সময় নিখোঁজ রুবেলের স্ত্রী মুন্নি আকতার বলেন, ‘আমাদের পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়। ৩ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে আমার স্বামীর খোঁজ পাচ্ছি না। সব হাসপাতালে গিয়েছি, কেউ তার সন্ধান দিতে পারেনি।’
চমেক হাসপাতালে এসে শুনি, যেসব লাশের পরিচয় মেলেনি, বা যারা স্বজনকে খুঁজে পাচ্ছেন না, তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাই আমি ও আমার মেয়ে নমুনা দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছি।
যদিও ইতোমধ্যে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনে মৃত ২২ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার (৫ জুন) রাত থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত লাশ হস্তান্তর করেছে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও ১৯ জনের লাশ হাসপাতাল মর্গে আছে। তাদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সংস্থাটির ফরেনসিক বিভাগ নিহতদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করছে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাকিদের লাশ ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার পর হস্তান্তর করা হবে। তবে রিপোর্ট পেতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। ততদিন এসব লাশ মর্গের ফ্রিজারে রাখা হবে।
আরএমএ/এসি
আরও পড়ুন