সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর দম্পতিকে হত্যা, ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত : ১৫:০৬, ৬ জুন ২০২২
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির দুই জন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা এবং স্বামীকে হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা আসামিরা হলেন- লোকমান, শফিক, সুমন, আরিফুল, মো. সুমন ও জামাল। তাদরে মধ্যে তিন আসামি পলাতক রয়েছে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে রূপগঞ্জের কয়েল কারখানার শ্রমিক খাদিজা বেগম তার নিজ কর্মস্থলে যান। কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে তার সহকর্মী আমেনার সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে গাউছিয়া জুটমিলের পিছনে পৌঁছানোর পর খাদিজা তার স্বামী আব্দুর রহমানের সঙ্গে বেবীটেক্সী যোগে চলে যান।
এর চার দিন পর ১৬ আগষ্ট সকাল ১১টার দিকে বোচারবাগ এলাকায় রমিজউদ্দিনের ডোবার পানিতে কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় খাদিজা ও আব্দুর রহমানের মৃতদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় খাদিজার বাবা আনোয়ার মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
তদন্ত প্রতিবেদন বলা হয়, ওই দিন ১২টার দিকে খাদিজাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। তখন তার স্বামীকে আটকে রেখে পরে তাকেও গলা কেটে হত্যা করে সেই ডোবার পানিতে ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।
এদিকে, স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা ও তার স্বামীকে হত্যা মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত সোমবার মামলার ৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
এনএস//
আরও পড়ুন