বিশ্ব সমুদ্র দিবস: সাইমান বিচের সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান
প্রকাশিত : ১৩:৩৬, ৮ জুন ২০২২
৮ জুন, বিশ্ব সমুদ্র দিবস। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘যৌথ কর্মে সমূদ্র পাবে পুনরুজ্জীবন’। এদিন একযোগে সারাবিশ্বে উদযাপিত হয় দিবসটি। দিনটি উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কক্সবাজারের সাইমান বিচ রিসোর্ট আয়োজন করে বীচ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠানের।
বুধবার (৮ জুন) সকালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব উর রহমান রুহেলের নেতৃত্বে সৈকতের কলাতলি পয়েন্ট থেকে শুরু করে সমুদ্রের বিভিন্ন পয়েন্টে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় বিভিন্ন হোটেলের কর্মচারী, মলিক, ব্যবসায়ী, পর্যটন উদ্দোক্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সায়মান বীচ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব উর রহমান রুহেল বলেন, “সমুদ্র কে বাঁচাতে হবে এবং পরিষ্কার রাখতে হবে। এটি ট্যুরিজমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কক্সবাজারে অধিকাংশ হোটেল পরিবেশ দূষণরোধে ও দুর্গন্ধ ঠেকাতে বর্জ্য শোধনাগারের ব্যবস্থা নেই। তাই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। যার জন্য সাগর দূষিত হয়ে নীল তিমিসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী মৃত্যুবরণ করে বালিয়াড়িতে ভেসে আসছে প্রায়স। তবে হাতেগোনা কয়েকটি হোটলে আধুনিক বর্জ্য শোধনাগারের ব্যবস্থা রয়েছে।”
সৈকতের জলজ প্রাণীকে বাঁচাতে প্রতিটি হোটেলে বর্জ্য শোধনাগারের ব্যবস্থা রাখার আহবান জানান তিনি। এছাড়া বিদেশি পর্যটকদের আর্কষণ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন বিনোদনের উপকরণ সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “সমুদ্রের সঙ্গে প্রতিটি মানুষই সংযুক্ত। সমুদ্র মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। সাগর-মহাসাগরকে বলা হয় পৃথিীবীর ফুসফুস। এছাড়া বঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করে দেশের অর্থনৈতিক চাকা আরও গতিশীল করার অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। ব্লু-ইকোনিমি বিশ্বের অনেক দেশকেই ব্যাপক সফলতা এনে দিয়েছে। তাই সেদিকেই আমাদেরও মনোযোগী হওয়ার সময় এসেছে।
এই সমুদ্রকে জানা, সমুদ্র ও সমুদ্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয় গুলোকে কাজে লাগানো এবং সমুদ্রকে দূষণ থেকে মুক্ত রাখতে বাংলাদেশ ও ‘বিশ্ব সমুদ্র দিবস’ উদযাপনের গুরুত্ব রয়েছে। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো, সাগর-মহাসাগর সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা।”
আরএমএ/এমএম/
আরও পড়ুন