হঠাৎ বিলে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে পাকা ধান (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৪৯, ৯ জুন ২০২২ | আপডেট: ১২:৫০, ৯ জুন ২০২২
উজানের ঢলে হঠাৎই প্লাবিত পাবনার চলনবিলের নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে পাকা ধান। শ্রমিক সংকটে ধান কেটে দ্রুত ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষক। ভেজা ধান যাওবা ঘরে তুলেছেন তাতেও বাড়ছে উৎপাদন খরচ।
হঠাৎ করেই বিলে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে সোনালী ধান। এই চিত্র পাবনার চলনবিলের।
চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা, হরিপুর, নিমাইচড়া, হান্ডিয়াল ইউনিয়নের মাঠে যখন পাকা ধান ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা। তখনই উজানের পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্না্ঞ্চলের ধান।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, “পানিতে নেমে ধান কাটতে কষ্ট হচ্ছে, নিয়ে যেতে আরও কষ্ট। অনেক টাকা লাগছে। ৫শ’ থেকে হাজার টাকা যাচ্ছে শ্রমিকরা। কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।”
কৃষকরা জানান, শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে পারছেন না। বেশি মজুরিতে কিছু শ্রমিক মিললেও রয়েছে নৌকা সংকট। বিকল্প নানা উপায়ে ভেজা ধান ঘরে তুলতে পারলেও বেড়েছে খরচ। বিলের একটি স্লুইসগেট খোলা থাকায় এই দুর্ভোগ, অভিযোগ কৃষকদের।
কৃষকরা জানান, “যে লেবারের মজুরি ছিল ৬শ’ টাকা এখন হয়েছে হাজার টাকা। তারপরও ধান নিয়ে যেতে কষ্টের শেষ নেই। বিঘা প্রতি ৭ হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে। এছাড়া গাড়ি ভাড়া লাগছে।”
আরেক কৃষক জানান, “বছর বছর এই সময়ে স্লুইসগেট খোলা রাখে, পানি এসে ধান ডুবে যায়। আমরা ধান কাটতে পারছি না। যখন ধান টাকা হয় তখন স্লুইসগেট আটকানো হয়।”
কৃষি বিভাগ জানায়, প্রনোদনার ব্যবস্থা হলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দেয়া হবে।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ বলেন, “সরকারি যদি প্রনোদনা ও পুনবার্সন কার্যক্রমের ঘোষণা থাকে সেক্ষেত্রে কৃষকদের সহযোগিতা করা হবে।”
চলনবিলের চাটমোহর অংশে এবার সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন