ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ফ্রিজিয়ান জাতের গরু পালনে স্বাবলম্বী আলতাফ

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:৩৬, ১১ জুন ২০২২

দেশে গরু পালন একটি লাভজনক পেশা। গরু পালন করে অনেক বেকার যুবক সফলতার মুখ দেখছেন। অনেকেই আবার গড়ে তুলেছেন বড় বড় গরুর খামার। এরই ধারাবাহিকতায় গরু পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন সাতক্ষীরার কলারোয়ার বেকার যুবক আলতাফ হোসেন (২৮)।

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের যুগিখালী গ্রামের ছেলে আলতাফ হোসেন (২৮)। এই যুবক ফ্রিজিয়ান গরু পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে প্রতিদিন তার ৭টি গরু থেকে দুধ হয় ৩৫ থেকে ৪০ লিটার পর্যন্ত। প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হয় ৩০ টাকা দরে।  

জানা যায়, যুগিখালী গ্রামের বেলাল হোসেন ছেলে আলতাফ হোসেন। মাস্টার্স পর্যন্তু পড়াশোনা করলেও পাননি কোন চাকরি।  তাই তিনি বেকার জীবন ঘুচাতে গরু পালন ব্যবসা শুরু করেন। সে নিজের উদ্যোগে নিজ বাড়ীতে গরু খামার গড়ে তোলেন। ৫ বছর আগে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে ৩টি গাভীসহ ৮টি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু ক্রয় করেন তিনি। দুই বছরের মাথায় গরুতে ৫টি বাছুরসহ ১৩টি গরুতে পরিনত হয়। বর্তমানে প্রতিদিন তিনি দুধ বিক্রি করে ১২শত টাকা আয় করেন।

আর আলতাফ হোসেনের এই সফলতা দেখে তার প্রতিবেশী অনেকেরই বাড়ীতে এক অথবা দুটি করে গরু পালন শুরু করেছেন। 

এ বিষয়ে আলতাফ হোসেন জানান, ‘রহিমা এগ্রো ফার্ম’ নাম এই খামারের। আসলে তার মায়ের নাম রহিমা, তাই মায়ের নামেই নাম রাখা এই খামারের। এই ফার্মে বর্তমানে ২৮টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু রয়েছে যার ওজন ১৬ মণ হবে। দাম প্রায় ৬ লাখ টাকার মতো। খামারে বর্তমানে ৪০ লাখ টাকার গরু আছে।

তিনি আরও জানান, এই গরুর খামারে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করে চলেছেন ইসলামী ব্যাংক কলারোয়া শাখা। আর এই ব্যাংক থেকে খামারে আরো গরু পালনের জন্য ১৪ লাখ টাকার ঋণও দিয়েছেন। 

এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমল কুমার সরকার বলেন, “এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এ উপজেলার মানুষ শুধু গরু পালন করেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এতে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ অফিস গরু ও ছাগল পালনে ফ্রিতে ঘাস চাষের জন্য কাটিং দিচ্ছে। সেই সাথে রোগ বালাই থেকে সেরে উঠতে পরামশ্য ও চিকিৎসা দিচ্ছেন।”
আরএমএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি