শার্শায় সংঘর্ষে বিএনপির ২৬ জনের নামে মামলা, আটক ৪
প্রকাশিত : ১০:২১, ১২ জুন ২০২২
যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারনে বিএনপির দু’গ্রুপের মারামারি, ছুরিকাঘাত ও মুহুর্মূহু বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করায় ২৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে শার্শা থানা পুলিশ।
শনিবার শার্শা থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় আরো ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার সাথে জড়িত শার্শা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম বাবু, রবিউল ইসলামসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাভারনের স্বর্ণ পট্টিতে মফিজুর রহমান ব্যক্তিগত কাজে যান। এ সময় একই গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী ও বিএনপির তৃপ্তি গ্রুপের কর্মী মন্টু, রবি ও মাছুমসহ চার-পাঁচজন পূর্ব শত্রুতার জেরে শার্শা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান জহির গ্রুপের মফিজুর রহমানের ওপর ধারালো ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা (বুরুজবাগান) স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে আহত মফিজুর রহমানের অবস্থার অবনতি হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক যশোর ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন।
এদিকে, আহত মফিজুরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেখতে আসলে বিএনপি নেতা আব্দুল হাইকে (৫৬) পিটিয়ে আহত করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শার্শা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি গ্রুপের লোকজন।
এ ঘটনার জেরে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে উপজেলা সরকারি হাসপাতালের সামনে গভীর রাত পর্যন্ত দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। মুহুর্মূহু বোমা বিস্ফোরণে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে শার্শা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ত্রাস সৃষ্টি এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করায় বিএনপির ২৬ জন নেতা কর্মীর নাম উল্লেখ ও আরো অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে শার্শা থাানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপির ৪ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের আটকে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এনএস//
আরও পড়ুন