যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে গাছ রেখেই ছয় লেন, বাড়ছে ঝুঁকি
প্রকাশিত : ২১:০৭, ১৩ জুন ২০২২ | আপডেট: ২১:০৯, ১৩ জুন ২০২২
বেনাপোল-যশোর মহাসড়কের ঝিকরগাছা কপোতাক্ষ সেতুর দুই পাশে ছয়টি শতবর্ষী শিশু গাছ রেখে ছয় লেনের এ্যাপ্রোস রোড করা হচ্ছে। এতে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে ঝুঁকি আরো বেড়ে গেল বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
মহাসড়কের ঝিকরগাছা কপোতাক্ষ নদের ওপর নির্মাণাধীন সেতুটি নির্দেশনা না মেনে নিচু করা হয়েছে। পরে আন্দোলনের মুখে সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ততক্ষণে সেতুর একাংশের (তিন লেন সমান) কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শেষমেশ তিন মাস কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফের সেতুর দুই পাশে আবার দুটি কালভার্ট নির্মাণের কাজ শুরু করে। কালভার্টের সাথে সেতুর দুই পাশে রাস্তা ৩২০ মিটার লম্বা এবং ৩০ মিটার চওড়া করা হচ্ছে। এ রাস্তার মাঝখানে পড়ে গেছে শতবর্ষী ছয়টি শিশু গাছ। এতে রাস্তার চলাচলে আরও ঝুঁকি বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের কপোতাক্ষ সেতুর পশ্চিম পাশে সম্প্রসারিত রাস্তার দু’পাশ দিয়ে যান চলাচল করেছে। এ রাস্তার মাঝখানে রয়েছে তিনটি শতবর্ষী শিশুগাছ। যা প্রায় অর্ধমৃত। ইতোমধ্যে বাজার অংশের তিনটি গাছের ডালপালা কেটে ফেলা হয়েছে।
পারবাজারের বাসিন্দা আ.ন.ম নূরল্লাহ খান রুমি বলেন, মাঝখানে গাছ থাকায় ঝুঁকি আরো বেড়ে গেলো। গাছগুলো শতবর্ষী, প্রায় মৃত।
পারবাজারের ব্যবসায়ী জয় হাওলাদার কাঁকন বলেন, রাস্তা প্রশস্ত করতে গিয়ে গাছের গোড়া খোঁড়া হয়েছে ৬-৭ ফুট। এতে মূল শিকড় কাটা পড়েছে। ফলে যে কোনো মুহূর্তে গাছ উল্টে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কালভার্ট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ডেনকো লিমিটেডের কাজের ব্যবস্থাপক আব্দুল আহাদ বলেন, কালভার্টের সাথে সেতুর দুই পাশে রাস্তা ৩২০ মিটার লম্বা এবং ৩০ মিটার চওড়া করা হচ্ছে। এতে রাস্তার মাঝখানে পড়ে গেছে শতবর্ষী ছয়টি শিশু গাছ। সেতুর পশ্চিম পাশের একটি গাছের ডাল কাটা হয়েছে।
যশোর সড়ক ও জনপদের বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সেতুর পাশে কালভার্টের সাথে এ্যাপ্রোস রোড করতে গিয়ে শতবর্ষীগাছগুলো রাস্তার মাঝখানে পড়েছে। কিন্তু গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হলেও উচ্চ আদালতে গাছ না কাটার নির্দেশনা থাকায় কিছু করার নেই।
কেআই//
আরও পড়ুন