ধর্ষণ মামলায় কাউন্সিলর খোরশেদ কারাগারে
প্রকাশিত : ১৫:১৭, ১৫ জুন ২০২২
আদালতের আদেশের পর খোরশেদ আলমকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ
ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (১৫ জুন) নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, দ্বিতীয় স্ত্রী দাবিদার সাঈদা আক্তার গত বছেরর ২৫ আগস্ট কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই নারায়ণগঞ্জকে নির্দেশ দেয়। ২ সেপ্টেম্বর পিবিআই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে।
গত ৮ নভেম্বর খোরশেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল।
প্রতিবেদন দাখিলের পর খোরশেদকে গ্রেফতার করতে আদালত ওয়ারেন্ট ইস্যু করলে হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনের দুদিন আগে গত ১৪ জানুয়ারি জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও আর আত্মসমর্পণ করেননি খোরশেদ।
এর আগে গত বছরের ১৬ মে রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় কাউন্সিলর খোরশেদ ও রেহানা আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন সাঈদা আক্তার। ওই মামলায় পুলিশ খোরশেদ ও রেহানা আক্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ (চার্জশিট) পত্র দায়ের করা হয়েছে।
এই মামলায় আদালত চার্জ গঠন করেছে।
এএইচ
আরও পড়ুন