অ্যাম্বুলেন্স না দেওয়ায় চিকিৎসকের উপর হামলা
প্রকাশিত : ১৫:৩০, ১৬ জুন ২০২২ | আপডেট: ১৫:৩২, ১৬ জুন ২০২২
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলমগীর হোসেন (৪৩)কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত চিকিৎস হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বুধবার (১৫ জুন) রাত পৌনে নয়টার দিকে এ হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। ইমন মিয়াসহ ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ উঠে।
এ সময় ইমন বাহিনীর আতঙ্কে প্রায় ১ ঘন্টা মোহনগঞ্জ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১০টায় নেত্রকোনা সিভিল সার্জন মোঃ সেলিম মিঞাকে মারামারির ঘটনা ও জরুরি বিভাগ বন্ধ থাকার বিষয়টি অবহিত করা হয়।
মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা খাতুন বাদী হয়ে বুধবার রাতেই থানায় ইমন মিয়াকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী ইমন মিয়া (২৮)কে গ্রেফতার করেছে মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বারহাট্টা উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের সালেক হায়দারের পুত্র পৌর শহরের নওহাল গ্রামের বাসিন্দা ইমন মিয়া গত ১৩ জুন তার শাশুড়ি ফরিদা পারভীনকে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় মোহনগঞ্জ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলমগীর হোসেন প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
তখন ইমন মিয়া সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের কথা বললে ড্রাইভার না থাকায় দেওয়া হয়নি। তখন কর্তব্যরতদের হুমকি-ধামকি দিয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে যান ইমন।
অ্যাম্বুলেন্স না দেয়ার জের ধরে বুধবার রাত নয়টার দিকে ইমনের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসী ওই হামলা ও মারপিটের ঘটনাটি ঘটায়। এসময় কর্তব্যরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আলমগীর হোসেনকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল হাসান মামলার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় মূল আসামি ইমন মিয়াকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।
এএইচ
আরও পড়ুন