ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূর চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ের এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে মারপিট করে চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ শহর বানু (৪৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে এমন অভিযোগ করেন পীরগঞ্জ বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তেলিনা সরকার হিমুর বিরুদ্ধে। 

এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে পীরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান ভুক্তোভোগীর স্বামী হাছান আলী।
  
শহর বানু বলেন, ‘‘আমার নামে অনেক ধরনের অভিযোগ রয়েছে বলে চেয়ারম্যান রোববার রাত ১০টায় স্থানীয় ফারুক ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে আমার বাড়িতে পাঠায় আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। পরে তারা আমাকে একজনের বাসায় নিয়ে যায় এবং সেখানে হিমু চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন ছেলে আমাকে মারধর করে। পরে চেয়ারম্যান আমার মাথার চুল কেটে দেয়। 

‘‘পরে এই ঘটনা যেন কাউকে না বলি, এজন্য চেয়ারম্যান আমাকে কড়া হুঁশিয়ারী দেন। এরপর থেকে টানা তিনদিন তারা আমাকে ও আমার স্বামীকে বাসায় আটকে রাখে।’’

গৃহবধূর স্বামী হাছান আলী বলেন, ‘‘কোন অপরাধ ছাড়াই আমার স্ত্রীকে চেয়ারম্যানসহ তার ছেলেরা মারপিট করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে। আমি বাসায় ছিলাম না এই সুযোগে তারা আমার স্ত্রীকে রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গেছে। কি কারণে তারা আমার স্ত্রীকে মারপিট করলো তা আমরা জানি না। 

পরে আমরা বাসায় ফিরে আসলে তারা আমাদের বাসা থেকে বের হতে বাধা দেয় এবং বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখায়। এরমধ্যে আমার স্ত্রী বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।‘‘

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান তেলিনা সরকার হিমু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমি যখন তাদের ডেকেছিলাম তখন ওই গৃহবধুর মাথার কোন চুল কর্তন করা হয়নি। এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং আমার নামে ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।‘‘

এমএম/