বানে ভাসছে সিলেট নগরী (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:৩০, ১৭ জুন ২০২২ | আপডেট: ১১:১৩, ১৭ জুন ২০২২
আবারো বানের পানিতে ভাসছে সিলেট নগরী। সিলেট-সুনামগঞ্জের বেশিরভাগ স্থান বিদ্যুৎবিছিন্ন। নিরাপদ পানির কষ্টে দুর্ভোগে বানবাসিরা। এদিকে বন্যার পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
মাস যেতে না যেতেই আবারো তলিয়েছে সিলেট। বন্যার পনিতে ডুবে আছে নগরীর বিভিন্ন সড়ক।
সীমান্তবর্তী জেলার ৪ উপজেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসীরা। নগরীতে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র।
তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জ। পাঁচ উপজেলার সবখানে থৈ থৈ পানি।
বিদ্যুৎ না থাকায় দুর্ভোগে সুনামগঞ্জের মানুষ। সেইসাথে খাবার আর নিরাপদ পানির সংকট দুর্ভোগ আরো বাড়িয়েছে।
তবে পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে বলে আশ্বস্থ করেছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন।
এদিকে উজানের ঢলে গাইবান্ধার তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র. ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানিও বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
কুড়িগ্রামের ধরলা, তিস্তাসহ সব নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।সদর উপজেলার পোড়ারচরে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
সিরাজগঞ্জে বানের পানিতে তলিয়ে গেছে আবাদী জমি। এনায়েতপুর ও চৌহালীতে নদী গর্ভে নতুন করে বিলীন হয়েছে ১০টি বাড়ি। ভাঙনের আশঙ্কায় আরো ঘরবাড়ি-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গঙ্গাচড়ার ৩০ গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি।
পানি কমতে শুরু করেছে শেরপুরে। তবে পানি কমলেও রাস্তা-ঘাট ভেঙে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন