ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর থানা ঘেরাও, ছয় পুলিশসহ আহত ২০

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:১০, ১৮ জুন ২০২২

পটুয়াখালীর মহিপুর থানায় আসামি গ্রেফতারের প্রতিবাদে থানাভবন ঘেরাও করে রাখে পরাজিত এক মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা। এনিয়ে বিক্ষুব্ধ সমর্থক এবং পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্চ এবং পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬ পুলিশসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। 

শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিপেটা করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।

এতে এসআই আঃ হালিম, কনেস্টবল মিলন, ওবায়দুল, আবজাল এবং নারী কনেস্টবল শীলা ও নাসরীন আহত হন। 
এসময় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্চে দুই নারীসহ অন্তত ১৪ জন বিক্ষুব্ধ সমর্থক আহত হয়েছেন। এরা হলেন আঃ রাজ্জাক, রাজা মিয়া, দুলাল, মনির মোল্লা, মনিরুজ্জামান, কাদের মাঝী, মিলন বেপারী, ওবায়দুল্লাহ, ইলিয়াস, রায়হান, মোসলেম, মজিদ, ইউসুফ, নারী সমর্থক বিউটি ও সাফিয়া। 

আহতদেরকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

আহত সাফিয়া বলেন, “একজন নিরপরাধ লোককে থানায় ধরে নিয়ে এসেছে। আমরা এর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ স্বরূপ থানার সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। পুলিশ অতর্কিত আমাদের লাঠিপেটা করেছে।”

এদিকে আহত পুলিশের এসআই হালিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ওসি আবুল খায়ের। 

তিনি আরও জানান, কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-পরবর্তী সংহিসতার মামলায় মোঃ খলিল নামে এক আসামিকে গ্রেফতারের পর তার ভাই পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আঃ জলিলের নেতৃত্বে তিন শতাধিক নারী-পুরুষ তাকে মুক্ত করতে থানাভবন ঘেরাও করে।

পরে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আঃ জলিল ঘরামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এএইচ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি