হু হু করে বাড়ছে বানের পানি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:০২, ১৮ জুন ২০২২
বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে সিলেট অঞ্চলে। সুনামগঞ্জের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সুনামগঞ্জের পরে এবার সিলেটের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বানের জলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা রংপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটের কযেক লাখ মানুষ।
হু হু করে বাড়ছে বানের পানি। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জের বাড়িঘরসহ বিস্তৃর্ণ এলাকা। দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ সংকটে পুরোপুরি বিপর্যয়ে এই জেলার বাসিন্দারা।
সিলেটেও বানের পানি বাড়ছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি হয়ে আছে জেলায় প্রায় ১২ লাখ মানুষ। আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে ঠাঁই হচ্ছে না।
এলাকাবাসী জানান, “এই রকম বন্যা কখনও দেখি নাই। ২০০৪ সালেও দেখি নাই, ৯৯-তেও দেখি নাই।”
সিলেটের ৩৩ হাজার কেভির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন হুমকিতে রয়েছে।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার পানি বেড়ে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ২৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবর পানির সংকট।
দুর্গত এলাকার মানুষরা জানান, “বাড়িঘরে আগুন চলার কোন ব্যবস্থা নেই। রান্নাবান্না করে খাওয়ার মতো কোন উপায় নেই।”
নেত্রকোনায় ১৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে প্রায় ১৬ হাজারের বেশি মানুষ। ৬ উপজেলার প্রায় ৪৭৩ হেক্টর জমির আউশ ধান ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানান, “অনেক স্রোত, পানি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বাড়িতে যেতে হলে সাঁতার কেটে যেতে হয়।”
আরেকজন জানান, “লাখ লাখ টাকার মাল শেষ হয়ে গেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে ঘরের ভেতর পানি।”
লালমনিরহাটে প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের ৪০টির বেশি গ্রাম। পানিবন্দি ২০ হাজারের বেশি মানুষ।
তারা জানান, “বাড়িতে কোমর সমান পানি, না খেয়ে আছি।”
এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন