স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে সিলেট-সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:১১, ১৯ জুন ২০২২
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ। উদ্ধারে কাজ করছে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। সঙ্গে বিজিবি ও পুলিশ। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে রংপুর, লালমণিরহাট, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরের জেলাগুলোতে।
সিলেটে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা। তবে উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে আটকে পড়া বন্যার্তদের উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
উদ্ধার করে আনা হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে। দুর্গম এলাকায় আটকে পড়াদের উদ্ধারের পাশাপাশি দেয়া হচ্ছে শুকনো খাবার।
ভুক্তভোগীরা জানান, “তিনদিন ধরে আটকে আছি।”
সিলেটে ৭০ শতাংশ এলাকা এখনও বিদ্যুৎবিহীন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, আপাতত উদ্ধার কার্যক্রমকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে সুনামগঞ্জে। সারাদেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এক জনপদ। আছে খাবার ও নিরাপদ পানির তীব্র সংকট।
বৃষ্টি ও ঢলে ধসে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওড়া নদীর বাঁধ। তীব্রবেগে পানি ঢুকছে আখাউড়ার বিভিন্ন গ্রামে। প্লাবিত হয়েছে অন্তত ১২টি গ্রাম।
নেত্রকোনা সদরসহ কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরীতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বন্ধ রয়েছে এলাকার অভ্যন্তরীন সড়ক যোগাযোগ।
তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি। ডালিয়া ও কাউনিয়া পয়েন্টেও পানি বিপদসীমার কাছাকাছি।
লালমণিরহাটের প্রধান দুই নদী তিস্তা ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা। দুর্ভোগে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিয়ারঘাটে মাটির বাঁধ ভেঙ্গে দু’শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
পানি বাড়ছে গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদনদীর। সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ছাড়াও সদর উপজেলার অন্তত ২০টি চরের নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে।
এদিকে, দ্বিতীয় দফায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি অন্তত ৫০ হাজার মানুষ।
এএইচ
আরও পড়ুন