নারীর গলাকাটা লাশ: বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় হত্যা করেন প্রেমিক
প্রকাশিত : ১৫:৩৬, ১৯ জুন ২০২২
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে নারীর হাত-পায়ের রগ ও গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় জান্নাতুল ফেরদাউস পাখি (৩২) নামের ওই নারীকে গলাকেটে হত্যা করেন তার প্রেমিক। এ হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিসহ প্রেমিক শাহাদাত হোসেন জীবনকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (১৯ জুন) দুপুরে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার শাহাদাত হোসেন জীবন সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পিতাম্বরপুর গ্রামের শামছুল আলমের ছেলে। নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস পাখি একই গ্রামের মহিন উদ্দিনের মেয়ে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান, গত বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে দেওটি ইউনিয়নের পিতাম্বরপুর গ্রামের একটি সবজি খেত থেকে জান্নাতুলের হাত-পায়ের রগ ও গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার চারদিনের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিহত নারীর পরকিয়া প্রেমিক শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
তার স্বীকারোক্তি মতে পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে ভুক্তভোগীর মোবাইল ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ২০০৮ সালে পাখির প্রথম বিয়ে হয়। তিন বছর পর তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সে ঘরে তার একটি ছেলে সন্তানও আছে। ২০১৪ সালে তার আবারও বিয়ে হয়। ছয় মাস পর তাও ভেঙে যায়। চলতি বছরের ২৯ মে জীবনের সঙ্গে ভুক্তভোগীর ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরে বিবাহিত শাহাদাতকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় বলে জানান পুলিশ সুপার।
পরে গত মঙ্গলবার (১৪ জুন) পরস্পর যোগাযোগ করে সোনাইমুড়ীর পিতাম্বরপুর গ্রামের মিনহাজী বাড়ির সংলগ্ন সবজি খেতের দক্ষিণ পাশে নির্জন স্থানে যায়। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আসামি তার কাছে থাকা ছোরা দিয়ে পাখিকে গলা কেটে হত্যা করেন।
মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার হাত-পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ১৫ জুন (বুধবার) সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা (নম্বর-১৮) দায়ের হয়। আসামি শাহাদাত হোসেন জীবনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম।
আরএমএ/এএইচ
আরও পড়ুন