কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি
প্রকাশিত : ০৮:৩৪, ২০ জুন ২০২২
বৃষ্টির পানি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও কিছুটা অবনতি হয়েছে। ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এতে প্লাবিত হয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকা।
গত ৫ দিন ধরে পানি বন্দি থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার ৯ উপজেলার লক্ষাধিক বানভাসী মানুষ। বিশেষ করে দুর্গম চরাঞ্চলের বন্যাকবলিতরা নৌকা ও ঘরের উঁচু মাচানে বসবাস করলেও খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন তারা।
অনেক পরিবার ঘর-বাড়ি ছেড়ে পাকা সড়ক ও উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। শিশু ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও দুর্ভোগে বন্যাকবলিতরা।
কুড়িগ্রাম সদরের ধরলা সেতু এলাকায় পাকা সড়কের ধারে আশ্রয় নেয়া আমেনা বেগম জানান, “ঘরের ভেতর পানি ঢুকে চৌকি তলিয়ে গেছে। থাকার মতো অবস্থা না থাকায় ছেলেমেয়ে নিয়ে রাস্তায় এসে উঠেছি।”
সদরের ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পারবতীপুর চরের মোখলেছুর রহমান জানান, “ঘরের সবকিছু পানিতে তলিয়ে গেছে। নিকটবর্তী কোন উঁচু জায়গা না থাকায় নৌকায় অবস্থান নিয়েছি। ঠিক মতো রান্না করতে না পারায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি।”
এখন পর্যন্ত কোন সহযোগিতা পাননি বলেও জানান তিনি।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, “বর্নাতদের জন্য ৩শ’ ১৩ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৮ লাখ ৯৫ হাজার টন শিশু খাদ্য ও ১৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকার গো-খাদ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তা ইতিমধ্যে বিতরণ শুরু হয়েছে।”
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, “ধরলার পানি বিপদসীমার ওপর কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি দুটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।”
এএইচ
আরও পড়ুন