ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বাল্যবিয়ের আসর ভেঙে শিক্ষার্থীকে ক্লাসে নিলেন সহপাঠিরা

নোয়াখালী প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ২০:০৮, ২২ জুন ২০২২ | আপডেট: ২০:১০, ২২ জুন ২০২২

নোয়াখালীর চাটখিলে এক স্কুলছাত্রীর (১৬) বাড়িতে লাল পতাকা হাতে আন্দোলন করে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে সহপাঠি শিক্ষার্থীরা। পরে ভ্রাম্যমান আদালত ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বর-কনে পক্ষকে ১০ হাজার টাকা  জরিমানা করেছে।

বুধবার (২২ জুন) দুপুরে বদলকোট ইউনিয়নের পশ্চিম বদলকোট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দারুল ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ের দিন ছিল আজ বুধবার। খবর পেয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুষমা শারমিনের নেতৃত্বে শতাধিক স্কুল শিক্ষার্থী লাল পতাকা হাতে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস.এম মোসা ওই বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলে বাল্য বিয়ে আয়োজনের প্রমাণ পেয়ে বরপক্ষকে আট হাজার এবং কনে পক্ষকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ভুইয়া বলেন, “প্রধান শিক্ষকের ফোন পেয়ে ওই বাড়িতে যাই। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিলে করতালি দিয়ে ওই ছাত্রীকে ক্লাসে নিয়ে যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।”

ঘটনার পর একটি ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন চাটখিল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ভুইয়া। পরে কয়েক ঘন্টায় ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। এতে অনেকে ইতিবাচক কমেন্টও করেন।

প্রধান শিক্ষক সুষমা শারমিন বলেন, “আমি উপজেলা বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ কমিটির সেক্রেটারী। আমার স্কুলের ছাত্রীর বাল্য বিয়ে হবে তা মেনে নেওয়া যায় না। সচেতনতা বাড়াতে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকদের সমন্বয়ে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছি।”

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি