টাকার লোভে কন্যাকে হত্যার পর মাটি চাপা দেয় পিতা
প্রকাশিত : ০৮:৪৩, ২৬ জুন ২০২২ | আপডেট: ০৯:৪৬, ২৬ জুন ২০২২
ময়মনসিংহের ভালুকার জার্মিদিয়ার প্রস্তাবিত কারখানা থেকে উদ্ধার করা কিশোরীর মৃত দেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত মিনু আক্তার (১৪) ভালুকার মাস্টারবাড়ীর একটি ভাড়া বাড়িতে সৎ বাবার সাথে থাকতেন। তার বিয়ের জন্য জমানো টাকা হাতিয়ে নেয়ার লোভে বন্ধুর সহায়তায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে রাখেন সৎ পিতা শফিকুল।
তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নিহত মিনুর সৎ বাবাকে শনিবার (২৫ জুন) সকালে কুড়িগ্রাম থেকে আটক করে ভালুকা মডেল থানায় এনে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই খুনের রহস্য উন্মোচিত হয়। এর আগে ২৩ জুন সকালে অজ্ঞাত লাশ হিসেবে মিনুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন জানান, কুড়িগ্রামের ওলিপুর থানার দিঘলহাইল্লা গ্রামের শফিকুল একই এলাকার বিধবা মাহমুদা বেগমকে দেড় বছর আগে বিয়ে করেন। স্ত্রী মাহমুদার আগের স্বামীর ঘরের কন্যা মিনু আক্তার (১৪)সহ ভালুকার মাস্টারবাড়ীর একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন শফিকুল। শফিকুল ভাঙ্গারীর ব্যবসা করতেন এবং তার স্ত্রী মাহমুদা চট্টগ্রামে একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন।
মাহমুদা মাঝে মধ্যে ভালুকার মাস্টারবাড়ী স্বামী কাছে আসতো এবং মেয়ের খোঁজখবর নিতেন। মাহমুদা বেগম মেয়ের বিয়ের জন্য প্রায় দেড় লাখ টাকা জমান। গত ৭ জুন ব্যবসার জন্য মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো সেই টাকা স্ত্রীর কাছে ধার চেয়েছিলেন শফিকুল। সেই টাকা শফিকুলকে না দিয়ে কর্মস্থলে চলে যায় স্ত্রী।
এতে শফিকুল ক্ষুব্ধ হয়ে তার বন্ধু রিপনের সহায়তায় গত ৮ জুন রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সৎ কন্যা কিশোরী মিনুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা পর মাস্টারবাড়ী এলাকায় প্রস্তাবিত তিব্বত কারখানার ভেতর মাটির নিচে পুতে রাখে।
এই ঘটনার ১০ দিন পর মাটি চাপা দেয়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করে ঘাতক সৎ পিতাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।
এএইচ
আরও পড়ুন