ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ধীর গতিতে নামছে পানি, বাড়ছে রোগবালাই

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ১৩:৫০, ২৬ জুন ২০২২ | আপডেট: ১৩:৫১, ২৬ জুন ২০২২

ধীরে ধীরে কমছে সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার পানি। তবে বাড়িঘরে পানি থাকায় এখনও অনেক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। বাড়ি ফেরত মানুষেরা এখনও রয়েছেন নানা সংকটে। একই চিত্র নেত্রকোণাতেও। পানি কমলেও বেড়েছে দুর্ভোগ।

সিলেটে ধীরগতিতে নামছে পানি। সুরমা ও কুশিয়ারার পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। নদীর অববাহিকায় পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। জেলার ৪ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও আছেন বানবাসীরা। পানি থাকায় বাড়ি ফিরতে পারছেন না তারা।

বানবাসীরা জানান, “পানি এখনও কমেনি তাই বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে এখানে থাকতে হচ্ছে।”

শহরে পানি নামা শুরু করায় দুর্ভোগ বেড়েছে। বন্যার ধকল কাটিয়ে নতুন করে ব্যবসা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। 

সুনামগঞ্জ শহরেও ধীরগতিতে কমছে পানি, নিম্নাঞ্চল এখনও প্লাবিত। আশ্রয়, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে দিশেহারা পানিবন্দি মানুষ। কয়েকটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলে এখনও কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেনি।

পানিবন্দি মানুষরা জানান, “অনেক শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পানি নোংরা হয়ে গেছে, যা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।”

বন্যায় চারদিকে শুধু ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। অনেক স্থানে এখনও বিদ্যুৎ নেই; পয়নিষ্কাশের সমস্যাও প্রকট।

নেত্রকোনায়ও ধীরে ধীরে নামছে বন্যার পানি। তবে এখনও পানিবন্দি দুই লক্ষাধিক মানুষ। সময়ের সাথে বাড়ছে দুর্ভোগ। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট তো আছে। বাড়ছে জ্বর, কাঁশি ও পাতলা পায়খানাসহ পানিবাহিত রোগবালাই। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়ষ্করা।

আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীরা জানান, “বাড়িঘর শুকায়নি, এখনও কাঁদা রয়েছে। এজন্য যেতে পারছি না। খাবার-খাদ্য কিছু পাওয়া গেলেও কিছু কিনেও খেতে হচ্ছে।”

প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ ব্যক্তি উদ্যোগেও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি