বন্যাদুর্গতদের পাশে স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশন
প্রকাশিত : ১১:৪৭, ২৭ জুন ২০২২
নড়াইল থেকে ৪৬৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশন’ এর সদস্যরা।
স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটি ট্রাকে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে সোমবার (২৭ জুন) সকাল থেকে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
ত্রাণ সামগ্রীর প্রতি প্যাকেটে রয়েছে চার কেজি চাল, এক কেজি ডাল, পেঁয়াজ, আলু ও তেল, আধা কেজি রসুন, চিড়া ও মুড়ি এবং একটি করে স্যানিটারি ন্যাপকিন, পানি বিশুদ্ধকরণ ওষুধ ও স্যালাইন। ২২০টি পরিবারের মাঝে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে ১৫০ শিশুর জন্য নতুন পোশাক।
বানভাসি ৫০০ লোকের মাঝে একবেলা রান্না করা খাবারও বিতরণ করা হবে।
স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মির্জা গালিব সতেজ জানান, ২০১৭ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অসহায়, ছিন্নমূল ও ভাসমান বেদে সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তারা। মানবিক কাজ তাদের সবসময় উৎসাহিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বানভাসি সিলেট ও সুনামগঞ্জবাসীর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা তাদের।
পড়ালেখার খরচ থেকে টাকা জমিয়ে সংগঠনের সদস্যরা বন্যাদুর্গতদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। এছাড়া তাদের আত্মীয়-স্বজন, প্রবাসী ছাড়াও নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ, মাইজপাড়া এবং লোহাগড়া বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেছেন বলে জানান তিনি।
সবমিলে দুই লাখ টাকার ত্রাণ বিতরণ করছেন তারা। পরবর্তীতে আরও ত্রাণ দেয়ার ইচ্ছা রয়েছে।
এ কাজে উৎসাহ যুগিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার), সিভিল সার্জন ডাক্তার নাছিমা আকতার, পৌর কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটুসহ অনেকে।
বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে মির্জা গালিব সতেজ ছাড়াও রয়েছেন সংগঠনের সদস্য সোহাগ ফরাজী, শামীম হোসেন, আল আমিন, সৌরভ মোল্যা, শেখ সাদী, চয়ন দে, মহিউদ্দিন, রানা রায়, সৈয়দ পর্বত ও খালিদ পারভেজ।
সংগঠনে বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ৪৫ জন। এদের বেশির ভাগই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।
এএইচ
আরও পড়ুন