মোংলার পণ্য সাড়ে ৩ ঘণ্টায় ঢাকায়
প্রকাশিত : ১১:১৪, ২৮ জুন ২০২২ | আপডেট: ১২:৩৩, ২৮ জুন ২০২২
স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর মোংলা বন্দর কেন্দ্রীক ব্যবসায়ীরা সুফল পেতে শুরু করেছেন। আগে মোংলা থেকে ঢাকায় পণ্য পৌঁছাতে সময় লাগতো কমপক্ষে ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা, এখন লাগছে সাড়ে ৩ ঘণ্টা।
রপ্তানী বাণিজ্যের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় রাজধানী ঢাকার সাথে মাত্র সাড়ে ৩ ঘন্টায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে তাদের বছরে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বেঁচে যাবে। পাশাপাশি পদ্মায় ভোগান্তি কমায় আনন্দ বয়ে যাচ্ছে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যের সাথে জড়িত ট্রাক-লড়ি ড্রাইভার ও হেলপারদের মধ্যেও।
মোংলা বন্দর ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডি অ্যাসোসিয়েশনের (সিএন্ডএফ) সভাপতি সুলতান আহমেদ বলেন, “স্বপ্নের পদ্মা সেতু মোংলা বন্দরের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি আর্শিবাদ। সেতু চালুর পর ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্রায় দুই শতাধিক ট্রাক ঢাকার উদ্যোশে ছেড়ে গেছে। আগে পণ্য পৌঁছাতে সময় লাগতো কমপক্ষে ১০ থেকে ১৪ ঘন্টা, এখন লাগছে মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টা। এখনই আমরা পদ্মা সেতুর সুফল পেতে শুরু করেছি।”
বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারবিডা) সভাপতি মোঃ হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, “সেতু উদ্বোধনের পর আমদানি করা পণ্য নিয়ে শতাধিক গাড়ি মোংলা বন্দর থেকে সাড়ে ৩ ঘন্টায় ঢাকায় পৌঁছে গেছে। শুধুমাত্র জ্বালানি তেল বাবদ বছরে আনুমানিক প্রায় ১২ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।”
এদিকে, বারভিটার প্রায় ৩০০ সদস্য মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি করেন। কম সময়ে গাড়ি খালাস ও রাখার পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় ব্যবসায়ীরা এই বন্দর দিয়ে আমদানি করতে বেশি আগ্রহী। এর মধ্যে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এই বন্দর দিয়ে গাড়ী আমদানিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বেড়েছে কয়েকগুণ।
পরিবহন ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, “পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন রোববার বিকালে কোম্পানির মাল নিয়ে সাড়ে ৩ ঘন্টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছি। এর আগে ঢাকায় রওনা দিলে কখন পৌঁছাবো তার কোন নিশ্চয়তা ছিল না। মাওয়া ঘাটে সিরিয়াল দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে, এমনকি দুই থেকে তিন দিন পর সিরিয়াল পেতাম। এখন আর সেই সমস্যা নাই।”
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, “পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীরা এর সুফল পাচ্ছেন। কম সময়ে মোংলা বন্দর দিয়ে সড়ক পথে আমদানি রপ্তানির গতিশীলতা বেড়েছে। এই ধারাবাহিকতায় বন্দরের আয় বাড়বে কয়েকগুণ। যা এই বন্দরের অর্থনৈতিক ভীতকে শক্ত করবে।”
এএইচ
আরও পড়ুন