ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

চাহিদার চেয়ে কোরবানিযোগ্য পশুর মজুদ বেশি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৩৩, ২৮ জুন ২০২২

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু ছাগল ও ভেড়ার পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা। দেশেই পর্যাপ্ত থাকায় ভারতীয় গরু আমদানি না করার দাবি তাদের।

মেহেরপুরের মুজিবনগরে মোনাখালি গ্রামের কৃষক ইনসান আলীর তিন বছরের যত্নে, দিনে ১২শ’ টাকার খাবার, ২৪ ঘণ্টা ফ্যানের বাতাসে বেড়ে উঠেছে রাজাবাবু। ৪৫ মণ ওজনের রাজাবাবুর দাম হাঁকা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা।

রাজাবাবুর মালিক ইনসান আলি “ছোলা, মটর ডাল, ভূসি এগুলোই খাওয়ানো হয়েছে, অন্য কিছু খাওয়ানো হয়নি।”

মেহেরপুরে এবার ৩৮৭টি বাণিজ্যিক খামারসহ প্রায় ১৮ হাজার পারিবারিক খামারে পালন করা হয়েছে ৫৯ হাজার গরু ও এক লাখ ২৮ হাজার ছাগল ও ভেড়া।

মাদারীপুর সদরের এনামুলের খামারে রয়েছে ১২টি গরু। সেগুলো ৩৮ লাখ টাকায় বিক্রির আশা এই সাবলম্বী খামারির।

সিরাজগঞ্জ সদরের গাছাবাড়ির হাজী ইসমাইল হোসেন নিজের ফার্মে ব্রাহামা, ফিজিয়ান, শাহিয়ালসহ দেশি উন্নতজাতের ষাঁড় মোটা-তাজা করছেন। এনায়েতপুরের খোকশাবাড়ির ফজলু ব্যাপারী সুষম খাদ্যে পালন করা বিশাল আকৃতির বলদগুলোর দাম হাঁকছেন ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা। 

সিরাজগঞ্জে চাহিদার চেয়ে এক লাখ ১৬ হাজারের বেশি ষাঁড় রয়েছে। নরসিংদীর আট হাজার খামারি দেশি পদ্ধতিতে প্রায় ৬৫ হাজার পশু মোটা-তাজা করছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার খামারি পশুপালন করছেন।

খামারিরা বলেন “শতভাগ দেশীয় খাবারে গরুগুলো লালন-পালন করা হয়েছে। খইল-ভূসি, ডালের গুড়া খাওয়াইয়ে গরুগুলো প্রস্তুত করেছি।”

দেশের খামারগুলোতে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটা-তাজা করা হচ্ছে। মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওষুধের ব্যবহার বন্ধে রয়েছে তদারকিও।

নরসিংদী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান খান বলেন, “কৃত্তিমভাবে মোটাতাজা দেখানোর জন্য কিছু ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়। এগুলো যেন তারা ব্যবহার না করেন। বিশেষ করে স্ট্যারয়েট ওষুধটা।”

খামারিরা জানান, এ বছর পশুখাদ্যের দাম বাড়তি হওয়ায় খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ।

ঈদের বাজারে ন্যায্য দাম নিশ্চিতের লক্ষ্যে ভারত থেকে গরু আমদানি না করা এবং সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে চোরাই পথে আসা বন্ধের দাবি খামারিদের।

বিজিবির সাথে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মো. শাহীন বলেন, “অবৈধ পথে যাতে বাংলাদেশে পশু না আসতে পারে এ জন্য আমরা বিজিবির সমন্বয় করে কাজ করবো।”

পর্যাপ্ত থাকায় ভারতীয় গরুর উপর দেশ নির্ভরশীল নয় বলছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার বলেন, “সিরাজগঞ্জ জেলায় চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার।”

দেশের চাহিদার চেয়ে কোরবানিযোগ্য পশুর উৎপাদন বেশি, জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এবার ৯৭ লাখ ৭৫ হাজারের কিছু বেশি চাহিদার বিপরীতে মজুদ আছে ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার পশু। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি