নড়াইলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোবাইল নিষিদ্ধ
প্রকাশিত : ১২:৪৮, ২ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১৩:২১, ২ জুলাই ২০২২
ফাইল ছবি
নড়াইলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজ ও মাদ্রাসায় দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মোবাইল ফোন আনতে পারবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন আনা নিষেধ থাকা সত্ত্বেও নড়াইলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গোপনে ফোন ব্যবহার করায় উদ্বেগ জানিয়ে তা বন্ধে গত ২৮ জুন স্বাক্ষরিত চিঠিতে জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান এ নির্দেশনা জারি করেন। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন আনা নিষেধ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা গোপনে মোবাইল আনছে এবং ভালো-মন্দ বিবেচনা না করে বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত পোস্ট, লাইক এবং শেয়ার নিয়ে বিব্রতকর ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
চিঠিতে কয়েকটি নির্দেশনা অনুসরণ করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অনুরোধ করা হয়।
ঈদুল আযহার ছুটির পর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ও অভিভাবকদের নিয়ে সমাবেশ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্দেশনাটি কঠোরভাবে বাস্তবায়নে প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ তল্লাশি করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।
শিক্ষা প্রশাসনের ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ নির্দেশনাসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবেন বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় ভারতের বিতর্কিত রাজনৈতিক নেত্রী নুপুর শর্মাকে সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনার পর দেশজুড়ে ওঠে প্রতিবাদ। এরপরই এই নির্দেশনা আসলো।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক আদেশে শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আদেশটি ১৫ অক্টোবর প্রকাশ করার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশিত হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন