চিতলমারী প্রেসক্লাব সভাপতির উপর হামলা, আতঙ্কে গণমাধ্যমকর্মীরা
প্রকাশিত : ১৫:২৪, ৪ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১৫:২৫, ৪ জুলাই ২০২২
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাসের উপর হামলার ঘটনার তিনদিনেও কোন মামলা হয়নি। আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় সংবাদকর্মী ও দেবাশীষ বিশ্বাসের পরিবার। এই অবস্থায় অতিদ্রুত সময়ে হামলাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।
বাগেরহাট প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সভাপতি নীহার রঞ্জন সাহা ও সাধারণ সম্পাদক বাকি তালুকদারসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত বিভিন্ন গনমাধ্যমকর্মীরা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের বিচার দাবি করেছেন।
চিতলমারী প্র্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম সুলতান সাগর বলেন, “একটি সংবাদ প্রকাশকে নিয়ে উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাসের উপর হামলার করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। হামলার তিনদিনেও পুলিশ হামলাকারীদের আটক করতে পারেনি। উপরন্তু হামলাকারীরা গণমাধ্যমকর্মীদেরকে মারধরের হুমকি দিচ্ছে। আমরা খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিৎকিসাধীন সাংবাদিক দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, “বাজার থেকে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম। মাঝপথে থানার সামনের সড়কে পৌ*ছালে চিতলমারী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক নজরুল ইসলামের ভাতিজা ফেরদাউসের নেতৃত্বে ৭-৮ জন লোক আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। সাথে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারা আমার পরিবার ও অন্য সহকর্মীদেরও মারধরের হুমকী দিচ্ছে। হামলাকারীদের বিচার চাই।”
প্রত্যক্ষদর্শী চিতলমারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যার শেখ নিজাম উদ্দিন বলেন, “ঘটনার সময় আমি একটু দূরে ছিলাম। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফেসদাউস ও তার সাথে থাকা লোকজন দেবাশীষকে বেধরক মারপিট করে।”
চিতলমারী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার সময় আমি খুলনা ছিলাম। এখানে ছিনতাইয়ের কোন ঘটনা ঘটেনি। সাংবাদিকরা যা ইচ্ছা তাই লিখছেন।”
এ বিষয়ে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তাহীনতার যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
আরএমএ/এএইচ
আরও পড়ুন