বাবুল-মিতু দম্পতির শিশু সন্তানদের জবানবন্দী গ্রহণ
প্রকাশিত : ০৯:৪১, ৫ জুলাই ২০২২
সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও মাহমুদা খানম মিতু দম্পতির দুই শিশু সন্তানের জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে। এসময়ে তদন্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মোঃ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশ ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন বাবুল আকতারের ছোটভাই অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান।
সোমবার মাগুরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে হাজির হয়ে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মোঃ ওমর ফারুক শিশুদের দীর্ঘ তিন ঘন্টা ধরে জবানবন্দী গ্রহণ করেন।
সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের দুই শিশু সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০২১ সালের ২৩ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল মাগুরা জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে এসে শিশু আইন মেনে জবানবন্দী গ্রহণের নির্দেশ দেন। এক বছর আগে আদালতের এই নির্দেশনা থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তা না এসে শিশুদের চট্রগ্রামে হাজির করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করতে থাকেন।
যা পরবর্তীতে শিশুদের চাচা অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাইকোর্টে রিভিশন করেন। হাইকোর্ট গত ৮ জুন তদন্ত কর্মকর্তাকে বাবুল আক্তারের শিশু পুত্র ও কন্যাকে মাগুরা জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে জবানবন্দী গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের ছোটভাই অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, “হাইকোর্টের আদেশ ছিল ভয় ভীতিহীন পরিবেশে বাচ্চাদের জবানবন্দী গ্রহণ করতে হবে। জবানবন্দী গ্রহণকালে তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টের আদেশের বাইরে অতিরিক্ত একজন লোক নিয়ে সেখানে প্রবেশ করেন। এছাড়া ঝিনাইদাহ থেকেও পিবিআই’র একটি টিম সকালে এসে সমাজ সেবা কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। এতে শিশু বাচ্চারা মানসিকভাবে চাপে পড়ে। এটি আদালতের আদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”
এ ব্যাপারে আদালতকে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।
বাবুল আক্তারের পিতা অবসরপ্রাপ্ত উপ-পুলিশ পরির্দশক আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া জানান, শিশু বাচ্চাদের বিরতিহীনভাবে ৩ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের তদন্ত কর্মকর্তা, একজিন মহিলা পুলিশ অফিসার, মাগুরা সমাজ সেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা ও শিশু দুটির দাদাকে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা সেখানে চট্টগ্রাম পিবিআই’র এএসআই রাজিবকে সাথে রাখেন। তিনি বাচ্চাদের সাথে আসা চাচী-ফুফিদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন বাবুল আক্তারের পিতা।
মিতু হত্যা মামলার পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মোঃ ওমর ফারুক জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে মাগুরা জেলা সমাজ সেবা কার্যলয়ে মিতু হত্যা মামলায় তার শিশু সন্তানের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের যতটুকু প্রয়োজন আমরা ততোটুকু জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন শিশু সন্তানকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে জিইউসির মোড়ে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময়ে বাবুল-মিতু দম্পতির সন্তান আক্তার মাহমুদ মাহিরের বয়স ছিল ৬ বছর এবং কন্যা তাবাচ্ছুমের বয়স ছিল ৪ বছর।
এএইচ
আরও পড়ুন