ঢাকা, সোমবার   ০৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নজর কাঁড়ছে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ‘পদ্মা’ ও ‘সেতু’

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৩৬, ৭ জুলাই ২০২২

Ekushey Television Ltd.

কোরবানির ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কোরবানি পশু নিয়ে নানা সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হচ্ছে। বিশেষ করে ওজন ও দামের সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসছে বাহারি নামের গরুর। এবার সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে নওগাঁর ‘পদ্মা‘ ও ‘সেতু’ নামে দুটি বিশাল আকৃতির ষাঁড়। 

দুটি গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা।

জেলার বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের দরিয়াপুর গ্রামের মামুনুর রশিদ লিটন গরু দুটির মালিক। আসন্ন পবিত্র ইদুল আজহা উপলক্ষে এই ষাঁড় দুটি বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন।

গরু দুটির মধ্যে কালচে রঙের ‘পদ্মার’ ওজন ৩৩ মণ ও লালচে রঙের ‘সেতুর’ ওজন ৩০ মণ। 

এরই মধ্যে অনেকেই গরু দুটি কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। দূর-দূরান্ত থেকে ‘পদ্মা-সেতু’কে কিনতে আসছেন ক্রেতারা। করছেন দাম-দরও। 

পরিবারের ছোট শিশুরা গরু দুটিকে ভূতু আর জিঁজিঁ বলে ডাকতো। সম্প্রতি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী শখ করে গরু দুটির নাম রাখেন ‘পদ্মা‘ ও ‘সেতু’।

গরুর মালিক মামুনুর রশিদ লিটন বলেন, সখের বসে দুই বছর আগে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি হাট থেকে ৬ মাস বয়সের কালো রঙের ষাঁড় ৬০ হাজার এবং লাল রঙের ষাঁড় ৬৫ হাজার টাকায় কিনে আনি। এরপর বাড়িতে নিজ সন্তানের মতো করে ষাঁড় দুটিকে যত্ন সহকারে লালন-পালন বড় করেছি। 

কাঁচা ঘাস, বিচিকলা, গম, ধান, ভুট্টা, মাসকালাই, খেসারি কালাই, মশুর ডাল ভূসি দিয়ে নিজেই ব্যান্ড তৈরি করে খাওয়ান। মোটাতাজাকরণের কোনো ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি। প্রতিদিন ‘পদ্মা-সেতুর’ জন্য ১৫শ‘ টাকা খরচ হয় লিটনের। 

কেনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ‘পদ্মা-সেতুর’ পেছনে সব মিলে খরচ হয়েছে প্রায় ৮-৯ লাখ টাকা।

লিটন আরও বলেন, পদ্মার ওজন হবে ১৩শ‘ কেজি আর সেতুর ওজন হবে ১২শ‘ কেজি। ষাঁড় দুটির দাম হেঁকেছেন ২৫ লাখ টাকা। কিন্তু এখন পর্যন্ত গরু দুটির দাম উঠেছে ১৮ লাখ টাকা। মন মতো দাম পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করা হবে। 

আর যদি ভালো দাম না পান তাহলে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করবেন বলে জানান লিটন।

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দীন জানান এবার ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জেলায় খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে ৪ লাখ ৩৩ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে।  এর মধ্যে শুধু গরুই ৬৭ হাজার। ছোট বড় মিলে জেলায় প্রায় ২৫ হাজারের মতো খামার রয়েছে। 

গত বছর ২ লাখ ২৫ হাজার পশু কোরবানি হয়েছিল। এবার জেলায় প্রায় ৩ লাখের বেশি পশু কোরবানি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় জেলার খামারগুলোতে পশু বেশি রয়েছে। 

তিনি জানান, এবার বড় গরুর চেয়ে মাঝারী গরুর চাহিদা বেশি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি