সুরকার আলতাফ মাহমুদের ভাতিজাকে হাতুড়িপেটা
প্রকাশিত : ১০:৫৪, ৮ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১০:৫৯, ৮ জুলাই ২০২২
শহীদ সুরকার আলতাফ মাহমুদের ভাতিজাকে বরিশালের মুলাদীতে দুই হাত ও এক পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে থেঁতলে দেওয়ার পাশাপাশি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থকরা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর বরিশালের মুলাদী পৌর এলাকার হাসপাতাল রোডে হামলার শিকার হন ৫৪ বছর বয়সী নুরুল হুদা পাপ্পু। প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও০ পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে তাকে।
মুলাদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল হাসান খান মিঠু জানান, পাপ্পু শহীদ আলতাফ মাহমুদের ভাই শাহজাহান মাহমুদের ছেলে। পৌর এলাকায় থানার পাশে নিজ বাড়িতেই তিনি থাকেন।
“গতকাল দুপুরে বাসা থেকে তিনি গিয়েছিলেন হাসপাতাল রোডে। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন রাঢ়ির সন্ত্রাসী বাহিনী সেখানে তার ওপর হামলা করে। তারা পাপ্পুকে হাতুড়িপেটা করে দুই হাত ও এক পা থেঁতলে দিয়েছে। পরে কুপিয়ে মুলাদী সরকারি কলেজের পাশে ফেলে রেখে গেছে।”
পাপ্পুর স্ত্রী শিমু গণমাধ্যমে বলেন, “পাপ্পু অনেক চিৎকার দিলেও সুমন আর তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ এগিয়ে যেতে সাহস পায়নি। পাপ্পু জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সন্ত্রাসীরা ওকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।”
কী কারণে পাপ্পুর ওপর হামলা হয়েছে জানতে চাইলে শিমু বলেন, “পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে গত ২৪ জুন শরীয়তপুর গিয়েছিল সবাই। নবাবেরঘাট থেকে লঞ্চে ওঠার সময় সুমনের সাথে পাপ্পুর বাক-বিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে পাপ্পুকে হত্যা করতে তারা হামলা করেছে।”
অভিযোগের বিষয়ে সুমন রাঢ়ি গণমাধ্যমে বলেন, “পাপ্পু যুবদল নেতা ও ক্যাডার। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে পাপ্পু একাধিকবার আওয়ামী লীগ কর্মীদের মারধর ও কুপিয়ে জখম করেছে। বর্তমানে মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যানের বডিগার্ড হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারধর করে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে যাওয়ার সময় লঞ্চে এক নেতাকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ নেতকর্মীরা তাকে মারধর করেছে।”
মুলাদী থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। এখনও মামলা হয়নি। তবে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।”
এমএম/
আরও পড়ুন