চামড়া দাম নেই, হতাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা
প্রকাশিত : ১১:০২, ১২ জুলাই ২০২২
চামড়ার কাঙ্খিত দাম না পেয়ে হতাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। লাভের আশায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কিনলেও সিন্ডিকেটদের দৌরাত্মে কম দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন তারা। গত কয়েক বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন করে চামড়া কিনলেও এবারও কাঙ্খিত মুনাফা হবে কি না এ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুরাতন জেল রোডে বসেছে অস্থায়ী চামড়ার হাট। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া নিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ভিড় করছেন হাটে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে ক্রেতারা আসছেন চামড়া সংগ্রহ করতে। ঈদের দিন বিকেল থেকেই শুরু হয়েছে চামড়া বেচাকেনা।
জানা যায়, হাটে হবিগঞ্জ, চুনারুঘাট, ভৈরব, নরসিংদী, গাজীপুর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা চামড়া নিতে আসছেন। সরকার এবার প্রতিফুট লবনযুক্ত কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে গরুর চামড়া ৪০-৪৪ টাকা, খাসির চামড়া ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২-১৪ টাকা।
এ বিষয়ে চামড়া বিক্রেতারা জানালেন, আড়ৎদাররা বিভিন্ন অজুহাতে কমদামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করছে। ছোট-বড় চামড়া গড়ে ৭/৮শ টাকা করে কিনলেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা ৩ থেকে ৪শ টাকায় কিনতে চাইছে। এতে তারা এবারো আর্থিকভাকে ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশঙ্কা করছেন।
তবে পাইকাররা জানিয়েছেন, সিন্ডিকেট নয় সরকার যে মূল্য নির্ধারণ করেছেন তা লবণযুক্ত চামড়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। গত বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুণ দামে চামড়া কেনা হচ্ছে বলে জানান তারা । এখানকার চামড়ার মান ভাল না হওয়ায় পাশাপাশি লবনযুক্ত না হওয়ায় কিছুটা কমেই কেনা হচ্ছে। ট্যানারির মালিকদের কাছে এমনিতেই পূর্বের পাওনা রয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন ভাবে লোকসান হলে পথে বসবেন তারা।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, বর্ডার এলাকা দিয়ে চামড়ার পাচার রোধে নেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
আরএমএ
আরও পড়ুন