ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বিদেশি জাহাজে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৭ দস্যু আটক

মোংলা প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১৫:৪৯, ১৪ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১৫:৫৩, ১৪ জুলাই ২০২২

বঙ্গোপসাগরের বোর পয়েন্ট এলাকায় বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাত দস্যুকে আটক করেছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (সদর দপ্তর) সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) ভোরে তাদের আটক করা হয় বলে জানান কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম মোসায়েদ হোসেন। 

এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র চাপাতি, দা, কুড়াল, ব্লেড ও করাত জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে ৭ পিচ ইয়াবা ও ২০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন মোঃ হারুন (৪৫) মোঃ শাওন (১২), ইমামুল ব্যাপারী (২৩), আনসার খাঁ (৪০), শামসু ব্যাপারী (৩০), মোবারক খাঁ (৩০) ও মুন্না তালুকদার (২২)। 

এদের সবার বাড়ি মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের কানাইনগর ও জয়মনি এলাকায়।

ক্যাপ্টেন এম মোসায়েদ হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে মোংলা বন্দরের বোর পয়েন্ট এলাকায় অবস্থানরত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এম ভি ব্লু মার্লিনে গত ১২ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল একদল দস্যু। ওই সময় জাহাজটি ভিএইচএফের মাধ্যমে ঘটনাটি বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানায়। তারা কোস্টগার্ডকে জানালে বিদেশী জাহাজের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযান চালিয়ে একটি ট্রলারসহ সাত দস্যুকে আটক করা হয়।

উদ্ধারকৃত মাদক ও জব্দকৃত ট্রলার এবং ধারালো অস্ত্রসহ আটককৃত দস্যুদের মোংলা থানা পুলিশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। ২০১৬ সালের ৩১ মে বনদস্যু মাস্টার বাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণ মধ্যদিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ এরপর একে একে ২৬ বাহিনীর ২৭৪ জন আত্মসমর্পণ করেন। 

এছাড়া বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ১৩৫ জন দস্যু। 

এরপর থেকে সাগর-সুন্দরবন উপকূল জুড়ে জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালীদের মাঝে শান্তির সুবাতাস বইছে। কিন্তু মাঝে মধ্যে দুই একটি ছোট দস্যুবাহিনী নতুন করে অপতৎপরতার চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে তারা ধরা পড়ছেন।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি