ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

একতা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত, দুর্ভোগে চার ট্রেনের যাত্রীরা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৪৩, ১৬ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ০৯:৪৪, ১৬ জুলাই ২০২২

পঞ্চগড় বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। ফলে আটকা পড়েছে চারটি ট্রেন। ঠিকসময়ে কর্মস্থলে যোগদান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন যাত্রীরা।

শনিবার ভোর পাঁচটায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর রেলস্টেশনে একতা এক্সপ্রেসের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। 

ওই ঘটনার পর থেকে আক্কেলপুর রেলস্টেশনে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন ও সান্তাহার রেলস্টেশনে পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন ও চিলাহাটীগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পড়েছে। এতে ট্রেনযাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। যাত্রীদের কেউ-কেউ বিকল্প পথে ঢাকায় রওনা হয়েছেন।

আক্কেলপুর স্টেশন মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন জানান, পঞ্চগড় বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস (৬০৭) নম্বর ট্রেনটি শনিবার ভোর চারটা ৪৮ মিনিটে আক্কেলপুর রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার ১২ মিনিট পর আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর রেলস্টেশনে ট্রেনটির একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। 

ট্রেনটি তিলকপুর রেলস্টেশনে আটকে রয়েছে। 

এরপর ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভোর পাঁচটা ৮ মিনিটে আক্কেলপুর ঢোকে। তখন থেকে ট্রেনটি আক্কেলপুর রেলস্টেশনে আটকে আছে। অপরদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি ও খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটীগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার রেলস্টেশনর আটকে রয়েছে। 

সকালে আক্কেলপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আক্কেলপুর রেলস্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। ট্রেনটির ছাঁদ ও বগিতে কোথাও ফাঁকা নেই। লাইন সচল হতে দেরি হওয়ায় অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে বাসযোগে বগুড়ায় যাচ্ছেন। 

বিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা রেজাউল করিম ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। আজ শনিবার সকালে কাজে যোগদান করার কথা ছিল তার। এমনিতেই নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। তারপর একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আক্কেলপুর রেলস্টেশনে দুই ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করছে। এ কারণে বিকল্প পথে ঢাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

সৈয়দপুর উপজেলার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, “এমনিতেই ট্রেনে যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকার মতো অবস্থা নেই। তারপরও কষ্ট করে ছাদে উঠেছিলাম। একটি ট্রেন সামনের রেলস্টেশনে লাইনচ্যুত হওয়ায় রোদ ও গরমে ট্রেনের ছাদে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ কারণে বাসযোগে বগুড়ায়, সেখান থেকে বাসে ঢাকায় যাব। এমন দুর্ভোগে আগে কখনও পড়িনি।”

আক্কেলপুর রেলস্টেশনের মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, একতা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার কথা কন্ট্রোলে জানানো হয়েছে। দ্রুত রেললাইন সচলের চেষ্টা চলছে। তবে আরও কিছু সময় লাগতে পারে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি