ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে শিশু নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার ৫

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:০৩, ১৯ জুলাই ২০২২

Ekushey Television Ltd.

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের ভোমরাদহ মণ্ডলপাড়া গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে জেরিন আক্তার (২) নামে এক শিশু নিহতের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (১৮ জুলাই) অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনকে এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ভোমরাদহ মণ্ডলপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে সজীব (২২), স্ত্রী সানজিদা আক্তার (৩৫), একই গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৫০) ও তার ছেলে ফিরোজ আলী (৩৫) এবং জহির উদ্দিনের ছেলে নয়ন (২২)।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকালে ফুটবল খেলা নিয়ে প্রতিবেশী আব্দুল মতিন ও জাকিরের পরিবারে বিবাদ সৃষ্টি হয়। সেই ঘটনার জেরে পরদিন শনিবার সকালে আবার দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে শিশু জেরিন আক্তার নিহত হয়।

পীরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাধন প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, “শুক্রবার বিকালে জাকির হোসেন বাড়ির পাশে আব্দুল মতিনের ছেলে সজীব ফুটবল খেলছিল। এ সময় বলটি জাকিরের মেয়ের গায়ে আঘাত লাগলে প্রথমে দুই পরিবারের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। এই ঘটনায় ওই দিনেই স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছিল। কিন্তু পরদিন শনিবার সকালে সজীব ছেলেটি জাকিরের বাড়ির দিকে গেলে তাদের সাথে তর্ক হয়। 

তর্কের এক পর্যায় সংঘর্ষ শুরু হলে জাকিরের স্ত্রীর কোলে থাকা দুই বছরের মেয়েটির শরীরে আঘাত লাগে। পরে আহত শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এঘটনায় জাকির হোসেন বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনের নামে মামলা করেন। এই মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতারের পর হাজাতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ময়নাতদন্তের পর শিশুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি