ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

সুবর্ণচর থেকে স্কুলছাত্রী অপহৃত, মূল আসামী গ্রেপ্তার 

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২০:০৯, ২৩ জুলাই ২০২২

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই ছাত্রীকে (১৪) উদ্ধার করা হয়। 

এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান অভিযুক্ত মো. মিদনকেও (২৩)। শনিবার ভোরে উদ্ধার করা ছাত্রী ও অভিযুক্ত মিদনকে নিয়ে চর জব্বর থানায় পৌঁছায় অভিযানে থাকা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরের দিকে থানায় মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে মিদন ও তাঁর সহযোগী মো. রিয়াজসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। মামলার পর পরই অভিযানে নামে পুলিশ। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান শুরু করে।

থানায় দায়ের করা অভিযোগে ছাত্রীর বাবা উল্লেখ করেন, তাঁর মেয়ে স্কুলছাত্রী (১৪) স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবমশ্রেণিতে অধ্যয়নরত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে একই এলাকার মো. মিদন ও মো. রিয়াজ তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার মেয়ে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল আনুমানিক নয়টার দিকে মিদন ও রিয়াজসহ অজ্ঞাত দুই-তিনজন তাঁর মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিষয়টি তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেন। তাতে কোন ফল না পেয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাস বলেন, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে থানায় শুক্রবার মামলা করেছিলেন ছাত্রীর বাবা। অভিযোগ পাওয়ার পরই তাঁরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। যার এক পর্যায়ে অপহরণকারীর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। 

ওসি দেবপ্রিয় দাস জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে খাগড়াছড়ির রামগড় এলাকা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও প্রধান অভিযুক্ত মিদনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার ভোরে ভিকটিম ও আসামিকে নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা থানায় পৌঁছান। এঘটনায় অভিযুক্ত বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। উদ্ধার করা ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি