ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় চবির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
প্রকাশিত : ১৯:০৭, ২৫ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১৯:০৭, ২৫ জুলাই ২০২২
এক বছর আগে দুই ছাত্রীকে হেনস্তার এক ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া এক ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণের দায়ে এক শিক্ষককে কঠোরভাবে সতর্ক এবং অন্য একটি ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় আরেক ছাত্রকে একইভাবে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত এসেছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।
তিনি জানান, চার ছাত্রকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের জান্নাতুল ইসলাম রুবেল, দর্শন বিভগের ইমন আহম্মেদ, রাকিব হাসান রাজু এবং আরবি বিভাগের জুনায়েদ আহমেদ। চারজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী।
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনের বিরুদ্ধে গত ২০ জুলাই হাটহাজারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন এক ছাত্রী। এজাহারে পথরোধ করে মারধর, ছিনতাই ও অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে হুমকি দেয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এ ঘটনার পর যৌন নিপীড়নের সব ঘটনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে গেল বৃহস্পতিবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের কর্মসূচির মুখে দ্রুত দাবি পূরণের আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার নিপীড়নে জড়িত দুই শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ৩ নম্বর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের কাছে জমা পড়া তিনটি অভিযোগ গত ২১ ও ২৩ জুলাই সভার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
‘এর মধ্যে যোগাযোগে ও সাংবাদিকতা বিভাগের দুই ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে ওই ৪ ছাত্রকে চিঠি ইস্যুর পর দিন থেকে এক বছরের জন্য শিক্ষাকার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রেজিস্ট্রার বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর এ টি এম রফিকুল হককে লিখিতভাবে সতর্কের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকসুলভ আচরণ করা এবং শব্দ চয়নে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে তাকে। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের আর কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তিনি সর্বোচ্চ শাস্তির মুখে পড়বেন বলে লিখিত জানানো হবে।
এসবি/
আরও পড়ুন