ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে, সুফল পাচ্ছেন জেলেরা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪২, ২৯ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১৩:৫৬, ২৯ জুলাই ২০২২

টানা ৬৫ দিন মাছধরায় নিষেধাজ্ঞার সুফল পাচ্ছেন জেলেরা। সাগরে-নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে তাদের জালে। মাছঘাটগুলোতে আমদানি বাড়ায় সরগরম ইলিশের পাইকারি বাজার। দামও কমেছে কেজিতে দুই থেকে তিনশ’ টাকা। 

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় আবারও প্রাণচঞ্চল উপকূলীয় জেলেপাড়া।

কক্সবাজার ফিশারিঘাটে ভিড়ছে ইলিশভর্তি শত শত ফিশিং ট্রলার। থাকছে সুরমা, লাল পোয়া, রূপচাঁদাসহ নানা প্রজাতির মাছের পসরাও। খুশি জেলে ও ব্যবসায়ীরা।

"প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া গেছে, আশা করছি সামনেও অনেক মাছ পাবো।" বলছেন একজন জেলে।

সাগর থেকে প্রচুর ইলিশ ধরে ফিরছেন পিরোজপুরের জেলেরাও। বাজারে বেড়েছে আমদানি। দাম কমায় স্বস্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতা। নদীর দেড়-দুই কেজির ইলিশ মিলছে ১২ থেকে ১৬শ’ টাকায়। আর এক কেজি সাইজের সাগরের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ থেকে হাজার টাকা দরে।

"এখন পার কেজিতে ২ থেকে ৩শ টাকা দাম কমছে এখন।" বলছেন একজন মাছ বিক্রেতা। 

ইলিশ আহরণ করে চাঁদপুর মাছঘাটে আসছেন হাতিয়া, সন্দীপ, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, চর আলেকজান্ডারসহ উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরাও। সেগুলো নিতে আসছেন বিভিন্ন জেলার পাইকাররা। সরগরম পাইকারি বাজারে দারুণ খুশি আড়তদাররা।

মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি কর্মসূচির সফলতায় ব্যাপক হারে বেড়েছে ইলিশের আমদানি।

"উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা গেলে আমরা সামনে আরও সুফল পাবো।" বলছেন চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান। 

উপকূলীয় কুয়াকাটা-কলাপাড়ার ২০ হাজার জেলের জালে এখনো মেলেনি কাক্সিক্ষত সংখ্যক ইলিশ।

তবে যারা বড় ফিশিং বোটে লম্বা জাল দিয়ে গভীর সমুদ্রে শিকার করছেন, তারা বড় সাইজের ইলিশ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
 

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি