অমতে বিয়ে, পাঁচ মাস পর লাশ হল কিশোরী
প্রকাশিত : ১৬:২২, ২৯ জুলাই ২০২২
নিহতের মৃতদেহের পাশে স্বজনের আহাজারি
অমতে দেয়া বিয়ের পাঁচ মাস পর বাবার বাড়ি থেকে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত কিশোরীর নাম সুরাইয়া আক্তার, বয়স আনুমানিক ১৫-১৬ বছর। তিনি ওই গ্রামের মোস্তফা হাওলাদারের মেয়ে।
জানা গেছে, পাঁচ মাস আগে একই গ্রামের সালেক আকনের ছেলে সোহাগ আকনের (২৮) সঙ্গে বিয়ে হয় সুরাইয়া আক্তারের। পারিবারিক সিদ্ধান্তের এ বিয়েতে মত ছিল না সুরাইয়ার।
স্থানীয়দের মতে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক সুরাইয়াকে বিয়ে করে সোহাগ। এটি ছিল তার দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এসব কারণেই সোহাগ-সুরাইয়ার বনিবনা হচ্ছিল না। তাই বাবার বাড়িতেই থাকছিল সুরাইয়া।
জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই সুরাইয়ার সঙ্গে তার বাবা-মায়ের কথা-কাটাকাটি হতো। বৃহস্পতিবারও একই কারণে সুরাইয়ার সঙ্গে তার মা তাসলিমা বেগমের ঝগড়া হয়। এরপর বিকেলে ঘরের ভেতরে সুরাইয়ার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সুরাইয়ার বাবার বাড়ি চরমোন্তাজের চরআন্ডা গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করে চরমোন্তাজ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। এর আগে ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে সুরাইয়া তার বাবার বসতঘরের ভেতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে দাবি তার পরিবারের।
নিহত সুরাইয়ার খালা জেসমিন বেগম মুঠোফোনে বলেন, ‘নাবালিকা মেয়েরে বিয়া দিছে। ছেলের দ্বিতীয় বিয়ে। তাই মেয়ের মত ছিল না। মেয়ে বার বার বলছে, আমারে ওই জায়গায় বিয়ে দিলে আমি মরে যাব। আমরা আমার বোনরে এবং দুলাভাইরে অনেক বুঝাইছি। কিন্তু কোনো বুঝে কাজ হয় নাই। এখন যদি গলায় ফাঁস দিয়াও মইরা (মরে) থাকে তাওতো তাদের কারণে মরছে।’
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে কারণ জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর কিভাবে সে মারা গেছে তা জানা যাবে।
এনএস//
আরও পড়ুন