বগুড়ায় চাকরিচ্যুত দুই সহদোর পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
প্রকাশিত : ০৮:২৭, ৩১ জুলাই ২০২২
বগুড়ায় চাঁদাবাজির ঘটনায় চাকরিচ্যুত দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করছে সদর থানা পুলিশ। শহরের জহুরুল নগর এলাকার একটি ছাত্রাবাসে চাঁদা দাবির অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরের পর তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে ২৯ জুলাই রাত আনুমানিক ১১টার দিকে জহুরুল নগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জহুরুলনগর ব্যাংকপাড়ার আব্দুল কাদেরের দুই জমজ পুত্র আবু হাসান আলাল (৩০) এবং আবু হোসেন দুলাল (৩০)। গ্রেফতারকৃতরা উভয়ই বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু নানা অপরাধের কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
চাঁদাবাজির ঘটনায় ছাত্রাবাসের মালিক মো: আল-আমিন সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয় যে, শুক্রবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে জহুরুল নগর ব্যাংকপাড়া এলাকার মোঃ আব্দুল কাদেরের ছেলে মোঃ আবু হাসান আলাল ও আবু হোসেন দুলালসহ সঙ্গীয় পটল (২৮), রানা (৩২) এবং জনি (৩২)সহ কিছু যুবকদের নিয়ে আল-আমিনের ভবনের নিচ তলায় শিক্ষার্থীদের মেস ও আউটসোর্সিংয়ের অফিসে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং একটি উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি করেন।
এর এক পর্যায়ে তাৎক্ষণিক ২ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে অফিস বন্ধ করে দিবেন এবং আউটসোর্সিংয়ের কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ভেঙ্গে ফেলবেন বলে হুমকি দেয় তারা।
এদিকে, একই রকম পরিবেশ সৃষ্টি করে গত ৭ই এপ্রিল মামলার বাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসামিরা আগেও ৫০ হাজার টাকা জোরপূর্বক চাঁদা নিয়ে গেছে মর্মে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুর রহিম বলেন, শহরের জহুরুল নগর এলাকার এক ছাত্রবাসের একটি আউটসোর্সিং অফিসে অকারণে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলাল ও দুলাল নামের দুই সহদরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত দুই ভাইয়ের নামেই হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে আরও ৩টি মামলা রয়েছে। পুলিশের চাকরি চলে যাওয়ার পর এলাকায় তারা নানা অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িয়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সেলিম রেজা জানান, শহরের জহুরুলনগর এলাকায় চাঁদা দাবির ঘটনায় একটি এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগি। তারপরেই অভিযান চালিয়ে দুই সহদরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরের পর তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া এজাহারভুক্ত বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান ওসি।
এএইচ
আরও পড়ুন