ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

উন্নয়নে বদলে গেছে ছিটমহলের জনজীবন (ভিডিও)

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৩৭, ৩১ জুলাই ২০২২

ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়ের ৭ বছর পুর্তি আজ। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে দেশের অভ্যন্তরে থাকা ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের মূল ভুখণ্ডের সাথে মিলিত হয়। মুক্তি মিলে ৬৮ বছরের বন্দিজীবন কাটানো মানুষদের। এরই মধ্যে ধারাবাহিক নানা উন্নয়নের সুফল পাচ্ছেন বিলুপ্ত ছিটের বাসিন্দারা। 

১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত হয়ে পড়েন ভারত ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ১৬২টি ছিটমহলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। তাদের মুক্তি দিতে ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে ২০১১ সালে ঢাকায় হাসিনা-মনমোহন প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়।

২০১৫ সালের ৩১ জুলাই রাত ১২টা ১ মিনিটে বিনিময় হয় দু’দেশের অভ্যন্তরে থাকা ছিটগুলো। বাংলাদেশ পায় ১১১টি ছিটমহলের ১৭ হাজার ২৫৮ একর জমি এবং ভারত পায় ৫১টি ছিটমহলের ৭ হাজার ১১০ একর জমি। 

বিনিময়ের ৭ বছরে পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ, শিক্ষা ও চিকিৎসাকেন্দ্র, আইটি ট্রেনিং সেন্টারসহ উন্নয়নের নানা সুফল ভোগ করছে বাসিন্দারা।

ছিটমহলের বাসিন্দারা জানান, “আগে কোনো নাগরিকত্ব ছিল না। ফিরে পেয়েছি নাগরিকত্ব, পেয়েছি উন্নয়ন। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, বিদ্যুৎ দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ হওয়ার পরে আমরা অনেক ভাল আছি।”

বিশেষ সুবিধায় যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়েছেন তারা। আর ছিট বিনিময় আন্দোলনের সূতিকাগার দাসিয়ার ছড়াকে ইউনিয়ন পরিষদ ঘোষণারও দাবি তাদের।

তারা জানান, “আগে খারাপ ছিল এখন বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবগুলো দিয়েছেন শেখ হাসিনা “

বাংলাদেশ-ভারত ছিট বিনিময় সমন্বয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, “ এটিকে যদি ইউনিয়নের মর্যাদা দিয়ে রাখা হয় তাহলে রিসার্চ-গবেষণাকারীরা যখন আসবে, ভারতীয় ভূখণ্ড বাংলাদেশে পরিণত হলো আর এই নামে নামকরণ করা হয়েছে। তখন তারা পেছনের ইতিহাসগুলো খুঁজে পাবে।”

৬৮ বছরের দুঃখ ঘোচাতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে সরকার, এমনটাই প্রত্যাশা ছিটমহলবাসীর।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি