দুষ্কৃতকারীদের হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক বাছিত হাসপাতালে ভর্তি
প্রকাশিত : ১১:৩২, ১৪ আগস্ট ২০২২
সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খান (ফাইল ছবি)
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মী আব্দুল বাছিত। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে উপজেলা সদরে যাবার পথে কমলগঞ্জ-মুন্সীবাজার সড়কের উবাহাটা এলাকায় দুষ্কৃতকারীরা তাকে ছুরিকাঘাতে আহত করে। এ খবর নিশ্চিত করেন কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।
আহত সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খান কমলগঞ্জ উপজেলার রামপুরের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। সে দৈনিক খবরপত্র পত্রিকার কমলগঞ্জ প্রতিনিধি।
প্রথমে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিস্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে থেকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় মৌলভীবাজার জেলার সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব, কমলগঞ্জ সাংবাদিক সমিতি, রিপোর্টার্স ইউনিনিটি, মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, কমলগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন।
এদিকে, ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন হামলাকারী আটক হয়নি।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে কমলগঞ্জ-মুন্সীবাজার সড়কের উবাহাটা এলাকায় দৈনিক খবরপত্র পত্রিকার কমলগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল বাছিত খানের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে অপর একটি মোটরসাইকেলে আসা ৩ যুবক। এ সময় কিছু বোঝার আগেই সন্ত্রাসীরা আব্দুল বাছিত খানের হাত, পা, মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।
এ সময় আব্দুল বাছিতের সাথে থাকা আরেক সহকর্মী আমিনুল ইসলাম হিমেল চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় বাছিতকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আমিনুল ইসলাম হিমেল জানান, তার অবস্থা আশংকাজনক। জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের আটক করার চেষ্টা চলছে।
তবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এই নাক্কারজনক ঘটনা ঘটেতে পারে বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের ধারণা। তার সহকর্মী মোশাহিদ আহমদ বলেন, সম্প্রতি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে রহিমপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য ওয়াতির আহমদ বুলবুলের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বাছিতের চাচার উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে ইউপি সদস্য বুলবুলকে কারাগারে প্রেরণ করে মৌলভীবাজার আদালত। তিনি এখনও জেলহাজতে আছেন।
এদিকে, সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খানের উপর সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে শনিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) শহীদুল হক মুন্সী, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান।
এএইচ
আরও পড়ুন