ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

কলেজ শিক্ষিকার মৃত্যু: স্বামী মামুনকে জেলহাজতে প্রেরণ

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:০৫, ১৬ আগস্ট ২০২২

নাটোরে আলোচিত শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় আটক স্বামী মামুন হোসেনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণের পর তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে বিচারক।

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মামুনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোসলেম উদ্দীনের আদালতে তোলা হয়। এসময় আইনজীবী গোলাম সারোয়ার স্বপন তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। 

বিচারক শুনানী শেষে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। 

এর আগে রোববার সকালে শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মরদেহ  উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মামুন হোসেনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 

এদিকে রোববার দুপুরে সিআইডির সুরতহালের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়।  তিন সদস্যের মেডিকেল টিম ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পুলিশের হেফাজতে দেয়। পুলিশ রোববার সন্ধ্যার দিকে মৃতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। 

পরে রাত ৮টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার খামার নাচকৈড় আবু বকর সিদ্দিকী কওমী মাদ্রাসা মাঠে জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে খাইরুন নাহারের দাফন সম্পন্ন করা হয়। 

এ ঘটনায় খাইরুন নাহারের চাচাতো ভাই সাবের হোসেন রোববার রাতে নাটোর সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেন। 

এদিকে মামুনের মা রাবেয়া বেগম তার ছেলেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, একটি মোটরসাইকেল কেনার কথা বলে তাকে বাড়িতে আসতে বলি। রোববার ছেলের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। মামুন কোন দোষ করেনি। ছেলেকে ফিরে চেয়েছেন তিনি।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, নাটোরের আলোচিত কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মৃত্যু ঘটনা নিয়ে  অধিকতর তদন্তের জন্য মামুনকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে জেলা পুলিশ দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। সাথে সংযুক্ত হয়েছে সিআইডি, র‌্যাব, পিবিআই ও সিআইডি ক্রাইম সেল। আমরা সকল ডিজিটাল ও সিসিটিভি অ্যানালাইসিস করেছি।

উল্লেখ্য, নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহার (৪০) ভালবেসে নবাব সিরাজ উদদৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মামুন হোসেনকে (২২) বিয়ে করেন। তাদের এই  বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। 

শিক্ষক খাইরুন নাহারের অসম বিয়ের বিষয়টি বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মীসহ স্বজনরা ভালভাবে নেননি। তাদের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তারা দুজন শহরের বলারিপাড়ায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। এরই এক পর্যায়ে রোববার  সকালে সেই ভাড়া বাসা থেকে খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি