ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ধর্ষণ ঘটনার ভিকটিমের বিরুদ্ধে আসামির পর্নোগ্রাফি মামলা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:১০, ২১ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ০৯:১৫, ২১ আগস্ট ২০২২

নলছিটির চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার ভিকটিম তরুণীর বিরুদ্ধে এবার পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছেন তারই দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আখতারুজ্জামান বাচ্চু।

শনিবার (২০ আগস্ট) আসামির মামলা দায়েরের বিষয়টি জানাজানি হলে ঝালকাঠি-নলছিটিবাসীসহ সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। 

পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১) ৮(২) ৮(৩) ৮(৫)/(ক) ধারায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে নলছিটি থানার এসআই মফিজ উদ্দিনকে।

এসআই মফিজ উদ্দিন জানান, বাদী কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আখতারুজ্জামান বাচ্চু তার মামলার অভিযোগে এডিটিংয়ের মাধ্যমে তার ছবি অশ্লীল আকৃতি বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবরাহ করার দাবি করেছেন। 

মামলায় উক্ত তরুণীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, ধর্ষণ মামলার ভিকটিম অসহায় তরুণীর মা রানী বেগম জানান, তার মেয়েকে চাকরি দেয়ার কথা বলে বাচ্চু চেয়ারম্যান ধর্ষণ করার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে পরিবারের সবাই নিরাপত্তাহীনতায়। চেয়ারম্যান বিভিন্ন লোক দিয়ে হুমকি-ধামকি দেয়ায় তারা আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, কুলকাঠির সরই গ্রামের ওই তরুণিকে ঢাকায় ভালো চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুলকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম আক্তারুজ্জামান বাচ্চু গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ইং ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রী ৯/২ নাম্বার রোডের ই ব্লকের ১২৩নং বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ওই তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। এরপর ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। 

এতে নির্যাতিতা তরুণী অন্তস্বত্তা হয়ে পরলে বিষয়টি চেয়ারম্যান বাচ্চুকে জানানোর পর তাকে বিয়ের প্রলোভন
দেখিয়ে গর্ভপাত করান। পরবর্তীতে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা খিলগাঁও থানায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগির পরিবার।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি