গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, ৩ যুবক গ্রেপ্তার

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে স্বামীর বন্ধুর বাড়ি থেকে বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে সন্তানের গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে এক গৃহবধূকে অপহরণ করা হয়। পরে গণধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে হরিপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। 

অভিযুক্ত করা হলেন উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা হাটপুকুর গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে ফজলুর রহমান (২০), চাপধা পিপলা গ্রামের করিমুল ইসলামের ছেলে রিসাত (১৯) ও একই এলাকার গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আকাশ (২০), রকিম ও লসকর।

এদের মধ্য থেকে ফজলুর রহমান, রিসাত ও অটোচালক আকাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দিতে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। পরে আদালতের নির্দেশক্রমে তাদের কারাগারের পাঠানো হয়। 

এছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে ও ভুক্তভোগী গৃহবধূকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দক্ষিণ পাড়িয়া এলাকার ওই নারী গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে সাত বছর বয়সী ছেলে মাসুমকে নিয়ে হরিপুর উপজেলার রুহিয়া এলাকায় স্বামীর বন্ধুর বাড়ি থেকে বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় কামারপুকুর অটোস্ট্যান্ড হতে ওই গৃহবধূকে একটি অটোযোগে অপহরণ করে বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজারের পুর্ব-উত্তর পাশে আনোয়ার মাস্টারের আম বাগানে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। 

সেখানে অপহরণকারীরা ওই গৃহবধূকে পর্যায়ক্রমে গণধর্ষণ করে। পরে রাত সাড়ে ১২ দিকে ওই গৃহবধূ ও তার ছেলেকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয় লোকজন ধর্ষক ফজলুর রহমানকে আটক করে ৯৯৯ কল দেয়। 

পরে ফজলুর রহমান ও ভিকটিমের ভাষ্যমতে হরিপুর থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে আরও দুই ধর্ষক রিসাত ও অটোচালক আকাশকে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হরিপুর থানার ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অটোসহ চালককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

এএইচ