পাবনায় সাবেক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, ভাই আশঙ্কাজনক
প্রকাশিত : ১৫:৪০, ২২ আগস্ট ২০২২
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পাবনার সুজানগর উপজেলায় প্রকাশ্যে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে তাতিবন্দ ইউনিয়নের বনগ্রাম পূর্বভবানীপুরের জিয়ালগাড়ী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, পূর্ব ভবানীপুরের জিয়ালগাড়ী বাজারের একটি চায়ের দোকানে জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন চা পান করছিলেন। সে সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জাহাঙ্গীর ও তার লোকদের এলোপাতালি কুপিয়ে চলে যায় প্রতিপক্ষ।
পরে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার জাহাঙ্গীরকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতরা হলেন নিহত জাহাঙ্গীরের ভাই মতি খন্দকার, একই এলাকার আরফান মোল্লার ছেলে আয়েনউদ্দিন, নজিমউদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম। বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার ভবানীপুর গ্রামের মৃত হাসান খন্দকারের ছেলে। তিনি ২০২১ সালে পাবনা সদর থানা থেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
নিহতের ছেলে জুবায়ের খন্দকারের দাবি, হামলাকারীরা চরমপন্থি দলের সদস্য। অবসর গ্রহণের পর এলাকার জুয়া খেলা নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন তার বাবা। পরে তিনি পেনশনের টাকা দিয়ে নতুন বাড়ি করতে গেলে চরমপন্থিরা চাঁদা দাবি করে। এ নিয়ে আশরাফ, জসিম মাস্টার, রাজা, সুমন, সোবহানসহ কয়েকজনের সাথে বিরোধ চলছিল।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরও জানান, ৫ বছর আগে তাদের পরিবারের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা হয়েছিল। সেই শত্রুতার জের ধরেই আজকে তাদের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এখানে চরমপন্থির কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই।
ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন