সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার শিক্ষিকা, থানায় মামলা
প্রকাশিত : ১৩:১৬, ২৩ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১৫:২১, ২৩ আগস্ট ২০২২
ভাগ্নির মেহেদী অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে কক্সবাজারে এক স্কুল শিক্ষিকা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে এ বিষয়ে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এর আগে গত ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রীজ নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, গত ১৮ আগস্ট রাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মালিপাড়া এলাকা থেকে ভাগ্নির মেহেদী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন এক স্কুল শিক্ষিকা। সেখানে পরিচয় হয় পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা ইউনূছঘোনা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়া (২৮) নামের একজনের সাথে। এসময় কিছুক্ষণ কথাও বলেন তারা। কথা হয় আরও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনের সাথে।
পরদিন ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ওই স্বজনের বাড়ি থেকে স্কুল শিক্ষিকা ইজিবাইক (টমটম) যোগে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রীজ নামক এলাকায় পৌঁছালে গতিরোধ করে বেদার ও তার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে ওই নারীকে টেনে তাদের ইজিবাইকে তুলে নেয়।
তারপর দেশীয় অস্ত্রের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে পালাক্রমে বেদারসহ তিনজন ধর্ষণ করে। তখন তিনি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে ঘাতকরা পালিয়ে যায় বলে জানান ওসি সেলিম উদ্দিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তোভোগী শিক্ষিকার স্বজনরা বলেন, এ ঘটনা পরিবারের লোকজন জানার পর থানায় যোগাযোগ করা হলে প্রথমে রামু থানা পাঠায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায়। সেখানে মামলা নিতে চাচ্ছিল না। পরে সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে মামলা নিয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা।
জানা যায়, ভিকটিম রামুর চাকমারকুলের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বছরখানেক আগে তার বিয়ে হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ভুক্তোভোগী নারীর এজাহার পাওয়ার পর মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে মাঠে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম।
এএইচ
আরও পড়ুন