বেঁচে ফিরলেন সাগরে ভাসতে থাকা ৩২ জেলে
প্রকাশিত : ০৮:২৭, ২৪ আগস্ট ২০২২
বৈরী আবহাওয়ায় ট্রলার ডুবে বঙ্গোপসাগরে দুদিন ভাসতে থাকা বাংলাদেশের ৩২ জেলেকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। পরে বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা সদর দপ্তর) মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাত ৯টায় এ তথ্য জানান। এর আগে দুপুরে তাদেরকে মোংলা কোস্টগার্ডে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি এসময় বলেন, গত ১৮ ও ১৯ আগস্ট বৈরী আবহাওয়ার মুখে পড়ে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ফিশিং ট্রলার এফবি জান্নাতুল ফেরদৌস, এফবি আব্দুল্লাহ-১, এফবি ছগির ও এফবি মায়ের দোয়া ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় চলে যায়।
২০ আগস্ট সকাল সাড়ে ৭টায় ১০ জন জেলেকে উদ্ধার করে সমুদ্রে টহলরত অবস্থায় ভারতীয় কোস্টগার্ড জাহাজ। পরে উদ্ধারকৃতদের তথ্য মতে এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে ভারতীয় কোস্টগার্ড ২২ জন জেলেকে উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত এই ৩২ জেলেকে দুই দেশের কোস্টগার্ডের সমঝোতার মাধ্যমে ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্র নিয়ন্ত্রণ রেখায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ তাজউদ্দিনে হস্তান্তর করা হয়। এরপর বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ অপরাজেয় বাংলা’য় করে জেলেদের মোংলা সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়।
উদ্ধার হওয়া জেলে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপাজেলার বাসিন্দা এনায়েত চৌধুরী (২২), ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার মোঃ ইউসুফ (৩৮), বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার মোঃ ফয়সাল (২০) ও পটুয়াখালী জেলার মহিপুর উপজেলার মোঃ রাব্বি (২৫) বলেন, “গত ১৫ আগস্ট সমুদ্রে মাছ আহরণের উদ্দেশ্য রওনা হই। এরপর ১৮ ও ১৯ আগস্ট ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পানি ঢুকে পড়ে চারটি ট্রলারই ডুবে যায়। এ অবস্থায় তারা ড্রাম ধরে সাগরে দুদিন ধরে ভাসতে থাকেন। এই দুদিন তারা অভুক্ত অবস্থায় থেকে জীবনের আশা ছেড়ে দেন।”
তাদের মত বাকিদেরও একই অবস্থা তৈরি হয়।
জেলেরা আরও জানান, ঝড়ের কবলে পড়া চারটি ট্রলারে ৪৭ জন ছিল। এরমধ্যে ভারতীয় কোস্ট গার্ড ৩২ জনকে উদ্ধার করলেও বাকিরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তবে তারা বেঁচে নেই বলে নিশ্চিত করেছেন এসব জেলেরা।
উদ্ধার হওয়া এসব জেলেদের বাড়ি পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানায় কোস্টগার্ড।
এএইচ
আরও পড়ুন